এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ সত্যি! মান্যতা দিলেন স্বয়ং মদন! মাথায় হাত তৃণমূলের!

মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ সত্যি! মান্যতা দিলেন স্বয়ং মদন! মাথায় হাত তৃণমূলের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন বিভিন্ন সভা সমিতিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করতেন, গোটা রাজ্যে মদের রমরমা বাজার। লটারি এবং মদ দিয়ে রাজ্যের সর্বনাশ করছে এই সরকার। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই যুক্তিকে পাল্টা খণ্ডন করা হত। কিন্তু এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকেই কি মান্যতা দিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র? নিজের বিধানসভা এলাকার কামারহাটি থেকে শুরু করে বিটি রোডে মদ এবং জুয়ার রমরমা বাজার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। হয়তো নিজের দল এবং সরকারকে এর বাইরে রাখতে চাইলেন মদন মিত্র। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মেই তার এই মন্তব্য প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে। চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে দিল স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে।

প্রসঙ্গত, এদিন কামারহাটি এবং বিটি রোড এলাকায় জুয়া এবং মদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সোচ্চার হন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, “গোটা বিটি রোডে মদে ছেয়ে গিয়েছে। চোলাই মদে ভরে গিয়েছে। জুয়ার রমরমা বাজার চলছে। আমি সরকার পক্ষের বিধায়ক হয়েও এই কথা তুলে ধরতে চাই।” আর এই কথা তৃণমূলের কোনো চুনোপুটি নেতা বলেননি। একেবারে যিনি শীর্ষস্তরের নেতা, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও বা বর্তমানে তার দলে কদর নেই বলেই খবর। বিভিন্ন সময় তার একের পর এক মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। তবে যাই হোক না কেন, তিনি একজন তৃণমূলের বিধায়ক এবং দলের সৈনিক। সেই কালারফুল বয় হিসেবে পরিচিত মদন মিত্রের মুখ থেকে এই কথা শুনে রীতিমতো বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা।

বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করে বলছেন, মদনবাবু এই কথা কোন সময় বলেছেন, সেটাই প্রশ্নের বিষয়। তবে তিনি যে সময়ই এই কথা বলুন, তিনি সত্যি কথাটা বলেছেন। তার কথার প্রতিমুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু যে সত্যি কথাটা তিনি বলে ফেলেছেন, সেটা শুধু কমারহাটি নয়, গোটা বাংলার অসুখ এবং সেই অসুখে রাজ্যের ঘরে ঘরে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এতদিন শুভেন্দু অধিকারী বারবার এই সমস্যার কথা বিভিন্ন সভা, সমিতি, সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেছেন। আর এবার যে কালারফুল বয় বাংলাকে রঙিন করে রাখার চেষ্টা করেন, তার মুখ থেকেও এই কথা শোনা গেল। পরবর্তীতে তার কথা পরিবর্তন হলেও, দলের কাছে তিনি ভালো হওয়ার জন্য এই কথাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবেন হয়ত। কিন্তু যে কথা তিনি বলে ফেলেছেন, তা যে আইনশৃঙ্খলা এবং রাজ্যের অব্যবস্থা দিকে একটা বড় প্রশ্ন তুলে দিল, তাতে নিশ্চিত বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারছে না এই সরকার। সেই কারণে মদ এবং লটারি দিয়ে বেকার সমাজকে ভ্রান্ত পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই অভিযোগ শুধু বিরোধীরা করলে না হয় ভাবা যেত যে, রাজনীতি করার জন্য তারা এই ধরনের কথা বলছে। কিন্তু এবার তো একেবারে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা বলে পরিচিত মদন মিত্রও নিজের বিধানসভা এলাকার দুর্দশার কথা তুলে ধরলেন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে এগিয়ে বাংলার অনেক বড় বড় লেকচার দিতে পারেন। বিদেশের শিল্প বিনিয়োগের অনেক প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন। এতদিন শুভেন্দু অধিকারীর কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে তা এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে এবার মদন মিত্রের কথার প্রতিক্রিয়া তো শাসক দলকে দিতে হবে। বাংলার মানুষ তো এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ চান। তাই শাসকদলের বিধায়কের এই মন্তব্য তৃণমূলের কাছে রীতিমতো কাটার মত বিঁধছে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি ওয়াকীবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!