এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > Big Breaking রাজভবনের সামনে কিভাবে ধর্না? শেষমেষ কড়া পদক্ষেপ রাজ্যপালের! ব্যাপক চাপে তৃনমূল!

Big Breaking রাজভবনের সামনে কিভাবে ধর্না? শেষমেষ কড়া পদক্ষেপ রাজ্যপালের! ব্যাপক চাপে তৃনমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবনের অদূরেই মঞ্চ করে নাটক করছেন বাংলার যুবরাজ। তার দাবি, যতক্ষণ না রাজ্যপাল তার সঙ্গে দেখা করছেন, ততক্ষণ তিনি সেখানেই বসে থাকবেন। কিন্তু প্রথম থেকেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার করে বলেছেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল কেন এখনও চুপ করে বসে আছেন? রাজভবনের সামনে রয়েছে 144 ধারা। সেখানে কেন তৃণমূল এই ধরনের কর্মসূচি করলেও, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না? তবে অবশেষে তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচি নিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজভবন। রাজ্যের পুলিশ তাদের হতে পারে, পুলিশ দিয়ে তারা যেখানে খুশি মঞ্চ বেঁধে যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু আইন তার ঊর্ধ্বে নয়, অবশেষে তা স্পষ্ট করে দিল রাজভবন।

সূত্রের খবর, বিরোধীদের লাগাতার প্রশ্নের পর এবার রাজভবনের পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই ধর্ণা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজভবন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি দিয়েছে। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজভবনের সামনে থাকে 144 ধারা। ফলে সেখানে কি করে তৃণমূল কংগ্রেস এই ধর্ণা করছে? একাংশ বলছেন, এতদিন রাজভবনকে এই পদক্ষেপটি নেওয়ার কথাই বলছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। কিন্তু রাজ্যপাল চুপচাপ ছিলেন। তার ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, যদি সোমবারের মধ্যে রাজ্যপাল কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে তিনি বিধায়কদের নিয়ে রাজভবন অভিযান করবেন। তবে অবশেষে রাজভবনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবের কাছে তৃণমূলের এই ধর্না নিয়ে প্রশ্নবান কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করেছে বিরোধী শিবিরকে।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে দল এবং প্রশাসন বলে আলাদা কিছু নেই। যাহা তৃণমূল, তাহাই পুলিশ। তাই পুলিশের অঙ্গুলীহেলনে তৃণমূল কংগ্রেস রাজভবনের সামনে এই সভা করতে পেরেছে। কিন্তু বিরোধীরা বিভিন্ন জায়গায় সভা করার অনুমতি চেয়েও পায় না। ফলে একটা প্রশ্ন এতদিন তৈরি হয়েছিল যে, রাজভবনের মত জায়গায় এত সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও, কেন এই ধরনের সভা করার মতো সাহস দেখাচ্ছে তৃণমূল? কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না? কিন্তু এবার রাজভবনের পক্ষ থেকে যে প্রশ্ন মুখ্যসচিবকে করা হয়েছে, যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে নবান্ন তার জবাব দিক। আর যদি জবাব দিতে না পারে, তাহলে অবিলম্বে তৃণমূলের এই ধর্ণা তুলে দেওয়া হোক বলেই দাবি সমালোচকদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি সত্যিই মানুষের স্বার্থে তৃণমূল এই ধর্ণা দিত, তাহলে তাকে মেনে নিতেন সকলেই। কিন্তু এই দলের নেতারা একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করে আবার সেই টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এদের বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে এরা এই ধরনের কার্যকলাপ করতেন না। তাও আবার রাজভবনের সামনে দুহাতে আইনকে ভেঙে দিয়ে বড় বড় কথা বলছেন বাংলার যুবরাজ। সবটাই যেন তাদের কথামতোই চলবে। কিন্তু রাজভবন এবার তার বিরুদ্ধে মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। ফলে মুখ্যসচিব বা নবান্নের পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই ধর্না নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!