এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অবশেষে কলকাতায় রাজ্যপাল, সাক্ষাতের সাহস দেখাবেন যুবরাজ? নতুন নাটকের চেষ্টা! দাবি বিরোধীদের!

অবশেষে কলকাতায় রাজ্যপাল, সাক্ষাতের সাহস দেখাবেন যুবরাজ? নতুন নাটকের চেষ্টা! দাবি বিরোধীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লির নাটকের পর এবার রাজভবনের সামনে ধর্না দিচ্ছেন বাংলার যুবরাজ। তার একটাই দাবি, যতক্ষণ না তিনি রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করছেন, ততক্ষণ তিনি এই ধর্ণা চালিয়ে যাবেন। এতদিন রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন, দিল্লি গিয়েছিলেন, তা নিয়ে কতই কথা বলেছিলেন সর্বভারতীয় ভাইপো। তার দলের নেতারা এটাও দাবি করেছিলেন যে, রাজ্যপাল নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু এবার যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, আজ সন্ধ্যায় বিমান করে কলকাতায় পা রাখবেন রাজ্যপাল। ফলে এবার এই ধর্নার নাটক বন্ধ করে সেই রাজ্যপালের মুখোমুখি হওয়ার মতো সাহস দেখাবেন তো তৃণমূলের যুবরাজ? নাকি আবার নতুন কোনো নাটকের চেষ্টা শুরু করবেন তিনি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল। আজ সন্ধ্যাতেই তিনি ফ্লাইট করে কলকাতায় পা রাখবেন বলে খবর। আর এই খবর সামনে আসার পর থেকেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, এবার কি বাংলার যুবরাজের নাটুকেপনা বন্ধ হবে? নাকি রাজ্যপাল আসার খবর পেয়ে তার মুখোমুখি হতে হবে এবং তাদের চুরির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে জেনে নতুন কোন কৌশল তৈরির ছক কষছেন বাংলার যুবরাজ! অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বারবার করে বলছে যে, তারা রাজ্যের টাকা আটকায়নি। বরঞ্চ রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে। তার হিসাব তারা চেয়েছে। হিসাব দিয়ে দিলেই রাজ্যকে টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই হিসাব না দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে, আন্দোলন করে তৃণমূল গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ফলে এবার যদি রাজ্যপাল চলে আসেন, তাহলে তার সঙ্গে দেখা করতেই হবে বাংলার যুবরাজকে।তখন তাদের এই চুরির বিষয়টি সামনে চলে আসবে। আর সেই বিষয়টি একবার সামনে চলে এলে বিরোধীরা যেমন চেপে ধরবে, ঠিক তেমনই মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এই তৃণমূল দল মানুষের টাকা নিয়ে কিভাবে ছিনিমিনি খেলে! ফলে সবদিক থেকেই চাপে পড়ে যাবেন মেকি আন্দোলনের প্রতীক বাংলার যুবরাজ বলেই কটাক্ষ একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, এই আন্দোলন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে নেতা তৈরি করতে চাইছেন। মানুষের কাছে দেখাতে চাইছেন যে, তিনি কষ্ট করে মানুষের দাবি আদায় করতে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। তাই এবার তাকে অন্তত সবাই নেতা বলে মেনে নিক। কিন্তু তার চালাকি সবাই ধরে ফেলেছে। তিনি নেতা হওয়ার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু যে দাবিকে সামনে রেখে তিনি এই ধর্না করছেন, ইতিমধ্যেই তার পর্দাফাঁস করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একেবারে রাজ্যে এসে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই তৃণমূল দলের নেতারা তার দপ্তরে গিয়ে শুধু হম্বিতম্বি করেছে। তার সঙ্গে দেখা করার নাম করে একের পর এক শর্ত দিয়েছে যাতে দেখা না হয়, তার চেষ্টা করেছে। তাই এবার রাজ্যপাল এলেও তার সঙ্গে হয়তো দেখা না করে অন্য এক শর্ত সামনে এনে বিষয়টাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন বাংলার যুবরাজ। কারণ সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে দেখা করলেও তিনি কি বলবেন, তা তিনি নিজেও জানেন না। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে হয়ত তিনি বঞ্চনার কথা বলবেন। কিন্তু এর ফলে তাদের নেতাদের চুরির কথাটাও প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল রাজ্যে আসতে যত দেরি করেন, ততই বেশি লাভ তৃণমূলের যুবরাজের। কারণ তিনি চাইছেন, হিরো সাজতে। তিনি লোককে দেখাতে চাইছেন যে, তিনি আন্দোলনের প্রতিভূ। পিসির মতো তিনি এবার দলের ব্যাটন নিয়ে রাজ্যকে পরিচালনা করবেন, এটা তিনি সকলের কাছে তুলে ধরতে চাইছেন। কিন্তু আজ যদি রাজ্যপাল সত্যি সত্যিই রাজ্যে পা রাখেন, তাহলে তিনি তো যুবরাজকে তার ভবনে স্বাগত জানাবেন। তখন তো যুবরাজকে যেতে হবে। ফলে রাজভবনে গিয়ে তিনি কি বলবেন, সেটাই দেখার মত বিষয়। কারণ তার বলার মত কিছু নেই। তার দল চুরি করেছে, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এটা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারও তা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে রাজ্যপালের মুখোমুখি হওয়ার মতো সাহস আদৌ রয়েছে, নাকি রাজ্যপাল আসার খবর পেয়ে তিনি অন্য কোনো ব্লু প্রিন্ট আবার তৈরি করবেন? এই আন্দোলনকে যাতে আবার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য অন্য কোনো নতুন নাটক শুরু করবেন বাংলার যুবরাজ? দিনের শেষে তেমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!