এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপো নাকি নেতা হবে? মুরোদ শেষ তৃনমূলের! বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির! ব্যাপক চাপে যুবরাজ!

ভাইপো নাকি নেতা হবে? মুরোদ শেষ তৃনমূলের! বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির! ব্যাপক চাপে যুবরাজ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন নেতা, যার ধারে কাছে যাওয়ার মত ক্ষমতা নেই তৃণমূল কর্মীদের। চারিধারে তার সিকিউরিটির বেষ্টনী। ভাবখানা এমন যেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীরও ওপরে। কটাক্ষ করে এমনই বলে বিরোধীরা। কিন্তু নেতা তো সেই, যে কর্মীদের সঙ্গে একেবারে মিশে যায়। ভাইপো এমন নেতা, যার নম্বরটুকুও নেই, তৃনমূল কর্মীদের কাছে। আর তিনি কর্মীদেরকে উসকে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নম্বর মঞ্চ থেকে বেরিয়ে বেড়াচ্ছে। একজন নেতার কি এই এই ধরনের কাণ্ডকলাপ সাজে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি নম্বর প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেও, তার নম্বর কি তিনি কর্মীদেরকে দিতে পারবেন? এবার সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারের যে নম্বর দিয়েছেন, তার পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সুকান্তবাবু বলেন, “আমার নম্বর দিয়েছেন, তা ঠিক আছে। কিন্তু উনি কি নিজের নম্বর ওনার কর্মীদেরকে দিতে পারবেন? অনেক জায়গায় তো গন্ডগোল হয়। তখন তো ওনার অনেক কর্মীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়। তখন তো তাদেরকে জামিনে মুক্ত হতে হয়। ওনার কাছে তো অনেক টাকা। কর্মীরা তো ওনাকে ফোন করে অন্তত তাদের বিপদের কথা জানাতে পারেন। তাই ওনার কর্মীদের তো ওনার ফোন নম্বরটা দেওয়া উচিত। উনি অন্তত সেটা দিন। বিজেপি কর্মীদেরকে রক্ষা করতে হবে না। উনি আগে নিজের কর্মীদের রক্ষা করুন।” অনেকে বলছেন, সুকান্ত মজুমদার মোক্ষম বানটি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে। অভিষেকবাবুর মুরোদ নেই, তার নম্বর কর্মীদেরকে দেওয়ার। কারণ তিনি জানেন, দিকে দিকে তার দলের যে গোষ্ঠী কোন্দল, তা নিয়ে মিনিটে মিনিটে তার কাছে ফোন আসবে। তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বেন। তাই সব সমস্যা নেওয়ার মতো নেতা এখনও পর্যন্ত ভাইপো হয়ে উঠতে পারেননি। যার কারণে এত সিকিউরিটি নিয়ে তিনি নিজেই নিজের কাছে নেতা হতে পারেন। কিন্তু কর্মীদের কাছে তিনি এখনও পর্যন্ত নেতা হয়ে উঠতে পারেননি বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, যদি তিনি বড় নেতা বলেই নিজেকে দাবি করেন, তাহলে এবার নিজের নম্বর কর্মীদেরকে বিলিয়ে দিন। অন্তত গোপনভাবেই কর্মীদের কাছে নিজের নম্বরটা দিন। যাতে পাবলিক জানতে না পারে। কিন্তু তা দেওয়ার মতও ক্ষমতা নেই অভিষেকবাবুর। যদি তাই হত, তাহলে তিনি নির্লজ্জের মত বিরোধী নেতার নম্বর না দিয়ে আগে নিজের নম্বরটা কর্মীদের কাছে দিয়ে বুঝিয়ে দিতেন যে, তিনি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে জানেন। কিন্তু সেই রকম সাহস অবলম্বন না করে কাপুরুষের মতো বিরোধী নেতাকে বিপর্যস্ত করতে এবং সমস্যায় ফেলতে তার এই ধরনের চেষ্টা। পিসির দয়ায় দলের নেতা হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু কর্মীদের মন জয় করতে পারেননি বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতির যে শিষ্টাচার পশ্চিমবঙ্গে ছিল, তা কার্যত ধ্বংস করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। একজন বিরোধী দলের নেতা, তার ব্যক্তিগত নম্বর প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কি শাসকদলের কোনো নেতা এভাবে দিতে পারেন? এটা কি সেই বিরোধী নেতাকে বিপাকে ফেলার জন্য নিজের কর্মীদের উস্কানি দেওয়া নয়! কি করে অভিষেকবাবু এই ধরনের কাজ করতে পারলেন? তার যখন এতই সাধারণ মানুষের জন্য দরদ, তাহলে তিনি মানুষকে তার নম্বর দেওয়ার মত ক্ষমতা দেখালেন না কেন? এতই যখন বাপের ব্যাটা, তাহলে নিজের নম্বরটা পাবলিকের কাছে দিয়ে দিন প্রমাণ করে দিন যে, মানুষ তার নম্বর পেয়ে খুশি। তাকেই সমস্ত অভিযোগ জানাচ্ছেন। কিন্তু তা না করে বিরোধী দলের নেতার নম্বর দিয়ে হিরোর বদলে জিরো হয়ে গেলেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!