এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির নামে চরম মিথ্যাচার, আর কত নীচে নামবেন ভাইপো? তীক্ষ্ণ জবাব বিজেপির!

বিজেপির নামে চরম মিথ্যাচার, আর কত নীচে নামবেন ভাইপো? তীক্ষ্ণ জবাব বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় সরকার নাকি বাংলাকে বঞ্চনা করছে। একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, সেই কারণে রাজভবনের সামনে মঞ্চ করে ধর্নার নামে নাটক করছেন বাংলার যুবরাজ। আর এখানেই বিরোধীদের আপত্তি। গেরুয়া শিবির বলছে, রাজ্যে একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্র হিসাব চাইছে। কিন্তু সেই হিসাব না দিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে আন্দোলনের নামে নাটক করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের বঞ্চনার অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বড় দাবি করে বসলেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী.

প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বিজেপি দপ্তরের সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের যাবতীয় বঞ্চনার অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেন। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা টাকা আটকাইনি। আমাদের বিরুদ্ধে টাকা আটকানোর যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যে। আমরা চুরি আটকেছি।” একাংশের দাবি, তৃণমূল কেন্দ্রের তরফে টাকা না পেয়ে এখন মানুষের মনে ভুল ধারণা ঢোকাতে ব্যস্ত। তারা মানুষের কাছে বোঝাতে শুরু করেছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। অনেক মানুষ হয়তো তা বুঝেও নিচ্ছেন। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতৃত্ব এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, মানুষকে টাকা দিলে আবার সেই টাকা নয় ছয় করবে এই তৃণমূলের নেতারা। তাই হিসাব না দিলে মানুষের স্বার্থেই সেই টাকা দেবে না কেন্দ্র। তাই তাদের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনার যে অভিযোগ যুবরাজ করছেন, তা মিথ্যে কথা ছাড়া আর কিছুই নয় বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, যুবরাজ তো অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু তাকে এভাবে আন্দোলন করতে হবে না। তিনি তার পিসিকে অন্তত বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একশো দিনের যে টাকাটা দেওয়া হয়েছে, সেই টাকার হিসেবটা কেন্দ্রকে দিয়ে দিক। তার পিসি তো এখন পর্দার আড়ালে মুখ লুকিয়ে রেখেছেন। তার তো সামনে আসার মত ক্ষমতা নেই। সামনে থেকে যুবরাজ অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু কেন্দ্র শুধু হিসেব চাইছে। আর তাতেই সমস্ত গ্যাস বেলুনের হাওয়া ফুস হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারা খুব ভালো করে জানে যে, হিসেব দিলেই তৃণমূল সরকার ধরা পড়ে যাবে। তাদের চুরি প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই রাজনীতি করার নামে, আন্দোলনের নামে মিথ্যে কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টায় মশগুল শাসক দলের নেতারা বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী এদিন জনসমক্ষে আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কারওর টাকা আটকে রাখেনি। বাংলাকে উন্নতির দিক থেকে সবার আগে দেখতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের কোনো ইগো নেই। কিন্তু মানুষের টাকা নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা এই রাজ্যের সরকার করছে, তা বন্ধ করতেই কেন্দ্র পদক্ষেপ নিয়েছে। তৃণমূল সরকারের নেতারা মানুষের টাকা নিয়ে যে চুরি শুরু করেছিলেন, তা কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেই কারণেই এখন তৃণমূল নেতারা বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে চেঁচামেচি শুরু করেছেন। কিন্তু এসব করে আর যাই হোক, টাকা পাওয়া যাবে না। আগে হিসেব দেবেন, তারপরেই টাকা নেবেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!