এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকি মাথানত করেছেন! এত মিথ্যা কি করে বলেন ভাইপো? পাল্টা প্রশ্ন বিজেপির!

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকি মাথানত করেছেন! এত মিথ্যা কি করে বলেন ভাইপো? পাল্টা প্রশ্ন বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একশো দিনের কাজের টাকা ফেরতের দাবিতে দিল্লিতে নাটক করার পর বাংলাতেও ধর্না অবস্থান করছেন যুবরাজ। বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে মিথ্যাচার ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে। বিরোধীদের বক্তব্য অবশ্য এমনটাই। এবার সেই ধর্না মঞ্চ থেকে সেই যুবরাজ দাবি করলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকি পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, মাথানত করতে। অর্থাৎ তারা যে দাবি করছে, তাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত এবং সেই কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে এসেছেন। যা দেখে বিজেপি বলছে, কতটা মিথ্যাবাদী হলে একজন নেতা এই ধরনের কথা বলতে পারেন!

প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবন চলো অভিযানের মঞ্চ থেকে অনেক বড় বড় কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এদিন রাজ্যে এসে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, যতক্ষণ না রাজ্য সরকার হিসাব দেবে, যতক্ষণ না চুরি আটকানো হবে, ততক্ষণ কেন্দ্র তাদের টাকা দেবে না। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকি বাংলার কাছে মাথা নত করেছেন। একাংশ বলছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কেন্দ্রের নেতাদের বা বিজেপির বাংলার কাছে মাথা নত করতে কোনো দ্বিধাবোধ নেই। কিন্তু তারা তৃণমূলের এই চুরির কাছে মাথানত করতে রাজি নয়। অভিষেকবাবু বোঝাতে চেয়েছেন যে, তৃণমূল একশো দিনের কাজের টাকা তারা পাচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করছে, তার কাছেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাথানত করে রাজ্যে এসেছেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য একেবারেই ভুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথ্য দিয়ে পাল্টা বুঝিয়ে দিলেন যে, তৃণমূল নেতাদের তার সঙ্গে দেখা করার মতো ক্ষমতা নেই। তার চোখে চোখ রাখার মতো ক্ষমতা নেই। কারন, তাহলেই তৃণমূলের দুর্নীতি ধরা পড়ে যাবে। তাই সেই কারণেই দিল্লিতে নাটক করার পর আবার রাজ্যে এই ধরনের ধর্না করে বড় বড় কথা বলছেন বাংলার যুবরাজ বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাথা নত করেছেন, নাকি তারা ভয়ে রয়েছেন, এটার উত্তর আগে দিন যুবরাজ। যদি অতই নিজেদের অবস্থান নিয়ে নিজেরা সঠিক হবেন বলে মনে করেন, তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তো বলেছিল যে, আপনাদের দেখা করতে হলে আপনারা দেখা করুন। তাহলে সেই প্রস্তাবে রাজি হলেন না কেন? আপনারা নাকি সততার প্রতীক! চুরি তো আপনারা করেননি। আপনাদের কাছে তো সমস্ত তথ্য রয়েছে। তাহলে সেই তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে আসার পরেও, তার সঙ্গে দেখা করলেন না কেন? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তো এসেছিলেন আপনাদের মিথ্যার মুখোশটা খুলে দিতে। তাই তার সামনে যাওয়ার সাহস না পেয়ে শেষ পর্যন্ত এই মিথ্যাচারে নামতে বাধ্য হলেন গুণধর ভাইপো। আসলে গোটা দলটাই মিথ্যা দিয়ে ভরা। তাই সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতা বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাথা নত করেছেন বলে নিজের পয়েন্ট বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু তিনি ভুলে গিয়েছেন, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে তার এবং তার দলের সংস্কৃতি একেবারেই খাপ খায় না। তৃণমূল দল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বাংলার সংস্কৃতিকে যেভাবে নষ্ট করেছে, তা দেখে মাথা চাপড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করতেও এই নেতাদের বাঁধে না। উল্টে আবার বড় বড় গলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তারা কথা বলছেন। আসলে এদের লজ্জা বলতে কিছুই নেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!