এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল >  পুজো মিটলেই বড়সড় বিপদে মমতা? পারলে আটকে দেখাবেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ বিজেপির!

 পুজো মিটলেই বড়সড় বিপদে মমতা? পারলে আটকে দেখাবেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃনমূল দাবি করছে, একশো দিনের কাজে নাকি বাংলাতে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই কারণে যুবরাজ রাজভবনের অদূরেই মঞ্চ করে ধর্নার নাটক করছেন। কিন্তু তৃণমূল যদি ভাবে, এসব করে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল বিজেপি অন্তত তৃণমূলকে রাজনৈতিক ময়দান ছেড়ে দেওয়ার মত জায়গায় নেই। সামনে পুজো। তাই বিজেপি চায় না, পুজোর সময় কাউকে বিরক্ত করতে। এখন রাজনীতির কচকচানি সাধারণ মানুষ ভালো মত নেবেন না। তাই তৃণমূল ফায়দা নিতে রাজভবনের অদূরে বিক্ষোভ করতে পারে। কিন্তু বিজেপি তৃণমূলকে চাপে রেখে আসল খেলাটা খেলবে শারদ উৎসব মিটে যাওয়ার পর। তাই তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

প্রসঙ্গত, এদিন শারদ উৎসব মিটে যাওয়ার পর বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে বড় বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমাদের সকলের মিলে বসে ঠিক করবে, পুজোর পর আমরা সমস্ত বঞ্চিতদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করব। ধর্না কর্মসূচি করব। এখানে একশো দিনের কাজে বঞ্চিত, আবাস যোজনায় বঞ্চিত এবং বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা যারা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছেন না, রাজ্য সরকার যাদের বঞ্চিত করছে, তাদের সকলকে নিয়ে। তবে এখন পূজোর সময় এসব করা ঠিক হবে না। পুজোর পরে আমরা এই কর্মসূচি পালন করব।” একাংশের দাবি, তৃণমূল এখন যে ধর্না কর্মসূচি করছে, সেটা তো নাটক। আসল ধর্না কর্মসূচি তো করবে বিজেপি। আর সেই কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের সিংহাসন কেঁপে যেতে বাধ্য। কারণ এই সরকারের আমলে চুরিটা বেশি হয়েছে। মানুষ তাদের ন্যায্য পাওনা কম পেয়েছেন। আর সেটা তৃণমূল নেতারাও জানেন। তাই নিজেদের চুরি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য এখন সেগুলোকে ধামাচাপা দিতে তারা বঞ্চিত, বঞ্চিত বলে কান্নাকাটি শুরু করেছেন। কিন্তু পুজো মিটে যাওয়ার পর বিজেপি যে কর্মসূচি নিচ্ছে, তাতে এখন থেকেই জেরবার হতে শুরু করেছে তৃণমূল দল বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল রাজভবনের সামনে কর্মসূচি করতে পারে। কিন্তু বিজেপি যদি শারদ উৎসব মিটে যাওয়ার পর বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে এই কর্মসূচি করে, হয়ত তখন তাদের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশ দিয়ে তাদের মঞ্চ বাধতে দেবে না প্রশাসন। কিন্তু প্রতিরোধ করার মত জায়গায় চলে এসেছে রাজ্যের বিরোধী দল। কোনো মতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের গা জোয়ারি মেনে নেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষ তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তৃণমূল সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করবেই। তাই পারলে বিজেপির সেই কর্মসূচিকে আটকে দেখাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল রাজ্যের শাসকদল হয়েও এখন বিরোধীদের মতো আচরণ করছে। প্রতিমুহূর্তে তাদের নেতারা আইন ভাঙার কাজ করছেন। রাজভবনের সামনে ধর্না দেওয়ার নাম করে তৃণমূলের যুবরাজ ভাবছেন, তিনি হিরো হয়ে যাবেন। কিন্তু মানুষ তাদের চালাকি ধরে ফেলেছে। সকলেই বুঝতে পারছে যে, এই রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। তাই যারা প্রকৃত বঞ্চিত, তাদের নিয়ে প্রকৃত বিক্ষোভ, আন্দোলন করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তা পূজার পরে হবে। তাই শুভেন্দু অধিকারী সেই কর্মসূচীর কথা জানানোর পর নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। আগামী দিনে এই কর্মসূচিকে কিভাবে বানচাল করবেন তিনি, সেই অঙ্ক হয়ত এখন থেকেই কষতে শুরু করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু বিজেপিও এই কর্মসূচি করে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেবে। কোনোমতেই তারা তৃণমূল সরকারকে ছেড়ে কথা বলবে না। লড়াই হবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!