এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জেলা পরিষদের বিজেপির প্রভাব কমাতে এবার “দাবার চাল” দেওয়া শুরু করে দিল তৃণমূল? জানুন বিস্তারিত

জেলা পরিষদের বিজেপির প্রভাব কমাতে এবার “দাবার চাল” দেওয়া শুরু করে দিল তৃণমূল? জানুন বিস্তারিত

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদের 18 টি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করলেও লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হওয়ার পরেই জেলা সভাপতির পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে দেয় তৃনমূল কংগ্রেস।

আর এরপরই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে বদল আসতে শুরু করে। আর বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগদানের সাথে সাথেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় সহ 10 সদস্য যোগ দেয় গেরুয়া শিবিরে। যার ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদ সদস্যরা ফের তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করে।

বর্তমানে বিজেপিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ 5 জন সদস্য হয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের 13 জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠদের দিক থেকে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আইন অনুসারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিজেপির হওয়ায় সেই ভাবে তারা কাজ করতে পারছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আর এই পরিস্থিতিতে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির দখল নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা চরমে উঠেছে।

বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে এসে এই ব্যাপারে তার ক্ষোভ উগরে দেয়। আর এরপরই আইনি জটিলতা মেটাতে উদ্যোগী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পাশাপাশি জেলা পরিষদের কাজকর্ম যাতে তারাই চালাতে পারে, তার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এহেন একটা পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের মৎস্য, পূর্ত, কৃষি, সেচ কর্মাধ্যক্ষ সহ সভাধিপতি বিজেপিতে চলে যাওয়ায় স্থায়ী সমিতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যায় কিনা, তা নিয়ে বাঘা বাঘা আইনজীবিদেরকে পরামর্শ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় বিশিষ্ট আইনজীবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে রওনা দিয়েছেন বালুরঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, “জেলা পরিষদের 18 জনের মধ্যে আমাদের 13 জন সদস্য রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। দ্রুত আমরা বিজেপির দখলে থাকা স্থায়ী সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসব। কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সেগুলো শঙ্করদা দেখছেন। ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নিতে শঙ্করদা কলকাতায় গিয়েছেন। তিনি ফিরে এলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী অনাস্থা নিয়ে আসব।”

তবে তৃণমূলের বিরোধী পক্ষে থাকা বিপ্লব মিত্রও আইনজীবী হওয়ায় তিনিও পাল্টা ছক কষা শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিপ্লব মিত্র বলেন, “পঞ্চায়েত আইনেই স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, আড়াই বছরের আগে সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতিদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। স্থায়ী সমিতিগুলো তার মধ্যেই পড়ে। প্রয়োজনীয় স্থায়ী কমিটিগুলো নিয়ে কোনো নিয়ম নির্দিষ্ট করা নেই। যদি গায়ের জোরে তৃণমূল স্থায়ী সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার চেষ্টা করে, আমরাও আইনি লড়াইয়ে যাব। আমরা বসে থাকব না।”

আর বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ায় এখন কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে তৃণমূল। তবে তৃনমূল এখন আইনি জটিলতা কাটিয়ে আদৌ জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল করতে পারে কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!