প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে গরু পাচার ও কয়লা পাচার কান্ডের জোরদার তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। আজ কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে রাজ্যের ১২ টিরও বেশি স্থানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির একাধিক দল অভিযান চালালো। কলকাতা ও কলকাতার নিকটবর্তী বিভিন্ন স্থানে আজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি অভিযান। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা, হুগলি সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চললো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির।

আজ গড়িয়ায় বিশ্বজিৎ মালাকার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির আধিকারিকেরা অভিযান চালালেন। ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ মালাকারের পিতা হলেন ইসিএলের কর্মী। কয়লা কাণ্ডে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ মালাকার ও তার পিতার নাম জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের তদন্তে এই দুজনের নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গেছে বেশ কিছু ইসিএল কর্মী ও আধিকারিকদের সহযোগিতায় বেআইনি কয়লার কারবার চালাতেন এই ব্যবসায়ী ও তার পিতা।

কয়লার অবৈধ অর্থে দুবাইতে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করে একেবারে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন তারা। আবার ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার লেকটাউনের একটি বাড়িতেও ইডির আধিকারিকেরা তল্লাশি চালান। লেকটাউনে গণেশ বাগাড়িয়ার তিনটি বাড়ির কথা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ইতিপূর্বে, তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েছে। তবে আজ তার বাড়ি তালা বন্ধ ছিল। উপস্থিত ছিলেন না তার বাড়ির লোকজনও। কোথায় সকলে গায়েব হল? সে ব্যাপারে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ইডির আধিকারিকরা।

আজ হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর শাস্ত্রীনগর এলাকায় দুই ব্যবসায়ী অমিত সিং ও নিরজ সিং এর বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা অভিযান চালালেন। ইতিপূবে তাদের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা তল্লাশি করেছিলেন। এই দুই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কয়লা কাণ্ডের মূল চক্রী অনুপ মাজি বা লালার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। তবে কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি বা লালা এখনো পর্যন্ত ফেরার।