এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > গণ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর

গণ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর দাঁতনে পদযাত্রা ও সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল তাঁর পদযাত্রায় ও সভায় ব্যাপক মানুষের সমাগম হয়েছিল। সভা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূলে একটাই রয়েছে পোস্ট, বাকি সমস্ত কিছু ল্যাম্পপোস্ট। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে যদি এই রাজ্যকে তুলে না দেওয়া যায়, তবে আর বাঁচানো যাবেনা এই রাজ্যকে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিতে এক সরকার থাকা প্রয়োজন।

গতকাল মিছিল ও জনসভার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনেও এলেন শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমেও শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন। তিনি জানালেন যে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই সাংসদ হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন , পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটি, বিজেপির তৈরি করা মাটি। আজ যে মাটিতে উঠেছে তুফান, সে তুফানকে তিনি সুনামি করতে এসেছেন।

অন্যদিকে গতকাল ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তিনি তোলাবাজি করেছেন, এটা যদি প্রমাণ করতে পারেন তবে ফাঁসিতে যেতে রাজি আছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, সমস্ত প্রমান হয়ে যাবে, বেশিদিন তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে না। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি জানালেন যে, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তে চলছে গরু পাচার। যা থেকে তোলা উঠছে, পুলিশ সেই তোলা কোথায় পৌঁছে দিচ্ছে? তা কারো কাছেই অজানা নেই। রাস্তায় অবৈধ ভাবে বালি খাদান, কয়লা খাদান, পাথর খাদান করা করছে, সেটাও অজানা নয় সাধারণ মানুষের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, তৃণমূল দল ছেড়ে দেবার পর শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তার উত্তরে তিনি জানালেন যে, তিনি তৃণমূলের সমস্ত পদ, মন্ত্রিত্ব, দলের সদস্য পদ সবকিছু ছেড়ে যোগদান করেছেন বিজেপিতে। বিজেপি তাঁকে গ্রহণ করেছে। ভারতবর্ষের একজন নাগরিক হিসেবে সকলের অধিকার আছে। এরপরই তিনি প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর প্রতি প্রশ্ন করেন, কেন তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে?

অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে তৃণমূল গুন্ডাগিরি করার অভিযোগ করেছে। এর জবাবে তিনি জানালেন যে, গত লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল ভোট করতে দেয় নি, পঞ্চায়েত ভোটও সেখানে হয়নি। তাই গুন্ডাগিরি কারা করে? তা বুঝতে পারছেন সকলেই। তিনি আরও জানান যে, পায়ে কাঁটা ফুটলে সকলেই লাফায়। বারবার তৃণমূল বলছে যে, হাজার শুভেন্দু তৈরি করবে, অথচ তাঁকে বারবার ব্যক্তি আক্রমণ করছে। তিনি জানালেন যে, মানুষ দেখছেন যে তাঁকে আক্রমণ করার অর্থ হল গ্রামবাংলাকে, তাঁর জেলাকে আক্রমণ করা। মানুষই এর উপযুক্ত জবাব দেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!