এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গ্রেপ্তার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! রং না দেখে বড় পদক্ষেপ মমতা প্রশাসনের!

গ্রেপ্তার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! রং না দেখে বড় পদক্ষেপ মমতা প্রশাসনের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যে আইনের শাসন নেই, প্রশাসন রং দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, এই অভিযোগ বিরোধীদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু বারবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে দলীয় মিটিং, আইন আইনের পথে চলবে বলে বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তার দলের কেউ দোষ করলেও, পুলিশ প্রশাসন যে রেয়াত করবে না, তা বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে বলতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু তার পরেও দেখা গেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের দ্বিচারিতা সামনে এসেছে।

যেখানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ তুলে ধরে শাসক দলের নেতারা দোষ করলেও ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন, এমন মন্তব্য করা হয়েছে। তবে কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া এক প্রতিবাদীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এবার বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। যেখানে রং না দেখে গ্রেপ্তার করা হল শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের শেখ সাদ্দাম হোসেনকে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছেন দলমত নির্বিশেষে সকলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 100 দিনের কাজ সহ বিভিন্ন নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সরব হন হুগলির পুরশুড়া গ্রামের এক প্রতিবাদী যুবক শেখ হাসিবুল হোসেন। আর এই ঘটনায় মুল অভিযোগের আঙুল ওঠে এনামুলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ তাকে ধরছে না বলে অভিযোগ করতে শুরু করেন একাংশ। এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা হওয়ার জন্যই তিনি তিনি ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে অবশেষে বড় পদক্ষেপ নিল পুলিশ প্রশাসন। যেখানে পশ্চিম মেদিনীপুর দাসপুর বাজার থেকে তৃণমূল নেতা শেখ সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আর প্রশাসনের এই সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছেন সকলে। অনেকে বলছেন, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন, এতদিন এই অভিযোগ ছিল। কিন্তু এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার, আইন যে আইনের পথে চলবে, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল প্রশাসন।

এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলির পুলিশ সুপার অমনদীপ বলেন, “ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল। একটি নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর বাজার থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।” এদিকে পুলিশ এই পদক্ষেপ নেওয়াতে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “পুলিশকে সাধুবাদ দেব। প্রথম থেকেই বলেছি, আবার বলছি, এই নৃশংস ঘটনায় পুলিশ একজনকেও ছাড়বে না। তিনি যত বড়ই নেতা হোন না কেন, অন্যেরাও ধরা পড়বে।”

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেতা তথা জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করে যে রীতিমত নজির গড়ল পুলিশ প্রশাসন, তা বলাই যায়। অনেকে বলছেন, এটাই প্রশাসনের কাজ। দল রং না দেখে ব্যবস্থা নেওয়া। তবে একাংশের দাবি এই গোটা ঘটনায় যদি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার না হতেন, তাহলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হত বিরোধীরা। এমনকি শাসকদলের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হত। তাই শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতা তথা উপপ্রধানকে গ্রেপ্তার করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!