প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল স্বচ্ছ মুখের উপর ভিত্তি করে সংগঠনকে সাজাতে শুরু করেছে। কিন্তু তাদের দলের সঙ্গে যুক্ত নানা নেতাকর্মীর কুকীর্তি শাসক দলকে দিনকে দিন নতুন করে বিড়ম্বনায় ফেলছে। এবার সম্পর্ক থেকে বেরোনোর চেষ্টা করার কারণে প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকি দেওয়ার জন্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন হুগলির এক তৃণমূল নেতা। যার কারণে অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে বাধ্য হলেন সেই তরুণী। আর এই গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে হুগলির তারকেশ্বর এলাকায়।

বস্তুত, তারকেশ্বরের বিনোদবাটির বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার তৃণমূল নেতার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তৃণমূল নেতা সেই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করে বলে অভিযোগ। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই তরুণী জানতে পারেন, তার প্রেমিক বিবাহিত এবং তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। আর এর পরেই তিনি সেই তৃণমূল নেতাকে জানিয়ে দেন যে, তিনি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চান। কিন্তু প্রেমিক তথা তৃণমূল নেতা তরুণীকে হুমকি দিয়ে তার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আর এর পরেই সেই তরুণী রীতিমত অপমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।

জানা গেছে, প্রথমে সেই তরুণীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারকেশ্বরের বৈদ্যপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরবর্তীতে তাকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই সেই তরুণী চিকিৎসা চলছে।আর এক তৃণমূল নেতার কুকীর্তির কারণে এক তরুণীর এইভাবে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টার ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

একাংশ বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস সবদিক থেকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই যেভাবে স্ত্রী-সন্তান থাকায় তৃণমূল নেতা এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাকে রীতিমত হুমকি দিলেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন সেই তরুণী, তাতে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এখন বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

যার ফলে এই গোটা ঘটনাকে হাতিয়ার করে এখন বিরোধীরা ময়দানে নেমে শাসকদলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।