‘মা তুঝে সালাম’-মাতৃত্ব ও চাকরি একসাথে সামলে হইচই ফেলে দিলেন এই পুলিশ জাতীয় October 29, 2018 একজন মায়ের কাছে সন্তানের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। কিন্তু একজন দেশসেবক দেশকেও কি অবহেলা করতে পারেন। না পারেন না।কারণ যখন চাকরিটা গ্রহণ করেন তখন যে শপথ করে বলেছিলেন নিজের সমস্ত কিছু দিয়েও নিজের কর্তব্য পালন করবেন। কিন্তু সন্তান তাকে যে এতটুকু কাজ ছাড়া করা যায় না।কোনটা বেছে নেবেন? একদিকে মাতৃত্ব অপরদিকে কর্তব্য। কিন্তু না, কোন কাজকেই এতোটুকু অবহেলা না করে মাতৃত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে এক অপূর্ব মেলবন্ধন সৃষ্টি করলেন আগ্রার অর্চনা জয়ন্ত। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে -যাতে দেখা যাচ্ছে এক পুলিশ অফিসার খাতার উপর কিছু লিখছেন তার ঠিক সামনে উঁচু একটি টেবিলে একটি শিশুকে শোয়ানো যেখানে বাচ্চাটিকে শোয়ানো হয়েছে টেবিলের সে অংশটা সামনের দিক থেকে আটকানো। যার ফলে সেখানে যে একটি শিশু আছে সামনের দিক থেকে তা কেউ বুঝতেই পারবে না। এই ছবিটি আসলে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির কোতোয়ালি থানার। আর ওই পুলিশ অফিসারটি অর্চনা জয়ন্ত। যিনি এলাকায় পরিচিত ‘মাদার কপ’ নামে।আর ঠিক এই ভাবেই তিনি একইসঙ্গে নিজের মাতৃত্বের দায়িত্ব এবং দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করে চলেছেন কোন কাজেই এতোটুকু অবহেলা নেই। স্বাভাবিকভাবেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেট দুনিয়া। আগ্রার বাসিন্দা অর্চনাকে কর্মসূত্রে বর্তমানে থাকতে হয় ঝাঁসিতে। স্বামী বা পরিবার কেউই সঙ্গে থাকেন না। কিন্তু সঙ্গে রয়েছে ছয় মাসের শিশু সন্তান।কর্তব্যে বেড়াজালে পড়ে সন্তানের লালন-পালনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই কারণে শিশুটিকে নিজের সঙ্গে থানায় নিয়ে যান দিনভর কাজের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি মেয়ের পরিচর্চাও করেন। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিন্তু কিভাবে দুদিক একসাথে সামাল দেন ‘মাদার কপ’। অর্চনাদেবী বলেন,”একটু সমস্যা হয়, কিন্তু আমার কাছে দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাজের মাঝেই মেয়ে অনিকার দেখাশোনাও করতে হয়।কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের পক্ষে তো সবসময় থানায় থাকা সম্ভব নয়। এই প্রশ্নের উত্তরে অর্চনা বলেন,”কাজের জন্য যখন থানার বাইরে যেতে হয় তখন সহকর্মীরাই অনিকার খেয়াল রাখে। আগ্রায় ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করেছি,একবার ট্রানসফার হয়ে গেলে বাড়ির লোকেরাই ওর দেখাশোনা করতে পারবে তখন আমি অনেকটাই স্বস্তি পাবো।”একই সঙ্গে এই ভাবে নিজের সন্তানকে আগলে রেখে দেশকে সেবা করার জন্য তাকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া। আপনার মতামত জানান -