এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিক্ষা দপ্তরে চরম সমস্যায় ব্রাত্য ! তাই কি বেলাগাম শিক্ষামন্ত্রী ? বড়সড় তথ্য ফাঁস !

শিক্ষা দপ্তরে চরম সমস্যায় ব্রাত্য ! তাই কি বেলাগাম শিক্ষামন্ত্রী ? বড়সড় তথ্য ফাঁস !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে যে ভাষায় আক্রমণ করছেন শিক্ষামন্ত্রী, তা দেখে রীতিমত হতবাক শিক্ষাবিদরাও। একজন মন্ত্রী কি করে রাজ্যপালকে এই ধরনের আক্রমণ করতে পারে, তা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হিরো সাজার জন্য এবং নিজের পয়েন্ট বাড়ানোর জন্যই এই ধরনের কাজ করছেন ব্রাত্য বসু। আবার অনেকে বলছেন, নিজের দপ্তরে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না শিক্ষামন্ত্রী। সেই কারণেই ক্ষোভে, রাগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তার এই ধরনের বেলাগাম আক্রমণ। এমতাবস্থায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্য সেই শিক্ষামন্ত্রীর অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার সেই রাজ্যপাল পদটিকে সাদা হাতির সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। আর সেই ব্যাপারেই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি একজন শিল্পী মানুষ। একজন নাট্যকারের মতো কথা বলছেন। গত 2-3 মাস ধরে উনি যা ইচ্ছে, তাই বলেছেন। আর আমার মনে হয়, 2011-2013 সাল পর্যন্ত উনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে যে টেস্ট পেয়েছেন, এখন আর তা পাচ্ছেন না। সেই কারণেই ওনার আঙ্গুর ফল টক লাগছে। তাই এই ধরনের অর্বাচীনের মতো ভাষা প্রয়োগ করছেন।” আর বর্তমান পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই বলছেন, ব্রাত্য বসুকে সবদিক থেকেই এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে চাপে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বিরোধীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী একদম ঠিক কথাই বলেছেন। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তখন তিনি হয়তো বেশ কিছু সুবিধে পেয়েছিলেন। নিজের ইচ্ছে মত কাজ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু সরকার ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে যা ইচ্ছে তাই করবে, তা মেনে নেবে না রাজভবন। তাই সেখানে রাজ্যপাল চেপে ধরতেই রীতিমতো চাপে পড়ে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত নিজের রাগ চেপে রাখতে না পেরে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে এমন সব শব্দ তিনি প্রয়োগ করছেন, যা সত্যিই অনুচিত। গোটা রাজ্যের মানুষ তার এই ধরনের আক্রমণে রীতিমতো অবাক। একজন মন্ত্রী কি করে এত কড়া ভাষায় সাংবিধানিক প্রধানকে বিদ্ধ করতে পারেন! তাহলে কি হতাশা থেকেই ব্রাত্যবাবুর এই ধরনের আক্রমণ? কিন্তু তিনি তো শিল্প মনস্ক মানুষ। তাই তার কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য সরকার চেয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী চেয়েছেন, তাদের মত করে বিশ্ববিদ্যালয় চলুক। কিন্তু সেখানেই রাশ টেনে ধরেছেন রাজ্যপাল। অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে তিনি রীতিমত রাজ্য সরকারের গাঁয়ের ছ্যাকা দিয়ে দিয়েছেন। তাদের কথা মতো যে সব চলবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছে রাজভবন। আর এতেই সুবিধে করে উঠতে পারছেন না রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। আর এই সরল সত্যটা ধরে ফেলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাই তিনি বড় তথ্য ফাঁস করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিলেন। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!