এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ডেঙ্গু সমস্যা মারাত্মক, নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন মমতা? চেষ্টা করেও হতাশ শুভেন্দু! ‌

ডেঙ্গু সমস্যা মারাত্মক, নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন মমতা? চেষ্টা করেও হতাশ শুভেন্দু! ‌


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-ডেঙ্গু সমস্যা কার্যত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে রাজ্যে। 12 দিনের সফর শেষ করে রাজ্যে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন বিদেশে ছিলেন, তখনই এই ডেঙ্গু সমস্যা নিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা না করে নবান্ন থেকে সুকৌশলে পালিয়ে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব বলে অভিযোগ। ফলে বর্তমানে যখন ডেঙ্গু সমস্যা মারাত্মক পরিস্থিতি নিয়েছে, তখন তার সমাধানের চেষ্টা করেও সরকারের ঘুম ভাঙ্গাতে ব্যর্থ হয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নানা প্রান্ত থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষ তাকে ফোন করে দুর্দশার কথা জানাচ্ছেন। কিন্তু তিনি সরকারকে তা জানালেও, সরকার কি তা শুনতে চায়! ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, এদিন ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমি এই বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। রাজ্যের বহু মানুষ, বিভিন্ন দলের মানুষ, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা আমাকে ফোন করে দুর্দশার কথা বলছেন। কিন্তু শুনবে কে? যারা পারছেন তারা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আর যারা পারছেন না, তারা চোখের সামনে শিশু এবং বৃদ্ধদের মৃত্যু দেখছেন।” আর এখানেই প্রশ্ন, রাজ্যের সরকার তো বলে, বিজেপি নাকি গঠনগত বিরোধিতা করছে না। তারা নাকি বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে। তবে এই ডেঙ্গু সমস্যা নিয়ে বিরোধী দলনেতা যখন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, তখন কেন তার সঙ্গে কথা পর্যন্ত বললেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক আধিকারিক? কেন তারা শুভেন্দু অধিকারীর মুখোমুখি হওয়ার সাহসটুকু পর্যন্ত পেলেন না! যদি তখন তারা বিরোধী দলনেতার সঙ্গে একটু হলেও কথা বলতেন এবং বিরোধী দলনেতা যদি এই সমস্যাগুলো তাদের কাছে তুলে ধরতেন, তাহলে হয়তো সরকার একটু বাড়তি নজর দিত। আর আগে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই করুণ পরিস্থিতি রাজ্যের মানুষকে দেখতে হত না বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সব সময় পুলিশ প্রশাসন দিয়ে বিরোধী রাজনীতিকে শেষ করানোর চেষ্টায় মেতে থাকে এই রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু বিরোধী নেতা যখন গঠনমূলক পরামর্শ দিতে চান, তখন তা গ্রহণ করে না তারা। মানুষের মৃত্যু তাদের কাছে ভাববার মতো বিষয় নয়। তাদের কাছে ভাবার বিষয়, কতক্ষণ তাদের চেয়ারটা থাকবে। তাই সেই ক্ষমতার মোহজালে ডুবতে গিয়ে মানুষের মৃত্যু এক ফোটাও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না নবান্নের কাছে। বিদেশ সফর করে রাজ্যে ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ডেঙ্গু সমস্যা ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করছে। তাই সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন প্রান্তের দুর্গত মানুষের ফোন পাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তিনি কি করবেন? তিনি তো জানাতে চেয়েছিলেন সরকারকে। তবে সরকার তো তার কথা শোনেনি। ফলে চেষ্টা করেও ডেঙ্গু সমস্যা নিরসনে রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙাতে কার্যত ব্যর্থ হয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কলকাতা, উত্তর 24 পরগনা এবং মালদার মতো জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ। আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। আর মানুষ যখন বিপদে, তখন রাজনীতি না করে শাসক বিরোধী উভয়ে মিলে মানুষকে বাঁচানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু বিরোধী দলের পরামর্শ, বিরোধী নেতার পরামর্শ যদি সরকার গ্রহণ না করে, তাহলে কি করে উন্নতি সম্ভব? এই সরকারই তো অনেক বড় বড় কথা বলে যে, রাজ্যের উন্নতি নাকি বিরোধীরা সহ্য করতে পারছে না! তবে তাদের সেই বক্তব্য শুধুই লোক দেখানো। কাজের বেলায় তারা বিরোধী দলনেতার পরামর্শ গ্রহণ না করে রাজ্যকে বিপদে ফেলে নিশ্চিন্তে শীত ঘুম দিতে ব্যস্ত। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!