মুকুল রায়ের কথা সত্যি করে বিজেপি ভাঙাতে আসা তৃণমূল নেতা বিস্ফোরক হলেন দলের বিরুদ্ধে বিশেষ খবর রাজ্য March 29, 2018 মুকুল রায় যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন তখন তাঁকে দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা বলা হত, দলীয় কর্মীরা আদর করে ‘চাণক্য’ বলেও ডাকতেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মুখ’ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হন, তাহলে ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু দলের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে নাম লেখান বিরোধী শিবির বিজেপিতে। আর বিজেপিতে এসেই তিনি তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রমান রাখলেন আবারো। বিজেপিতে যোগদান করে কয়েকমাস আগেই তিনি প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে আসেন। তাঁর সেই সফরে তাঁর হাতে ধরে উত্তরবঙ্গের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ শিখা চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করেন। সম্প্রতি আবারো উত্তরবঙ্গ সফরে গেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, আর তখনই জল্পনা ছড়ায় মুকুল রায়কে বড়সড় ‘ধাক্কা’ দিতে শিখাদেবীকে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরিয়ে নিতে মরিয়া শীর্ষনেতৃত্ত্ব। আর এই ব্যাপারে দলের তরফে দায়িত্ত্ব দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন শীলশর্মাকে। এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি স্পস্ট জানিয়ে দেন, শিখা চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে, শিখাদেবী তৃণমূলে ফিরে তো যাবেনই না, উল্টে না রঞ্জনবাবুই বিজেপিতে যোগদান করেন! আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আর মুকুল রায়ের কথাকে মান্যতা দিয়ে আজ রঞ্জনবাবু একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের উপর। তিনি বলেন, (শিলিগুড়ি পুরসভায়) বামেরা যখন বিরোধী ছিল, তখন তারা দেখিয়ে দিয়েছিল বিরোধিতা কাকে বলে, আমরা তার ১০% করতে পারি না, কোনও আন্দোলন হয় না। পৌরনিগমের বিরোধী দলনেতা হিসেবে দল যাকে বেছেছে, তাঁকে আরও অভিজ্ঞ হতে হত। এভাবে কোনওদিনই শিলিগুড়ি পৌরনিগমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না তৃণমূল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলনেতা নির্বাচন হয়নি। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপিয়ে দিয়েছে। তাহলে কীভাবে দলীয় নেতৃত্বকে জানাব? এর আগে পৌরনিগমের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে টিকিট দেয়নি। আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলাম। গৌতম দেব আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তখন আমার বিরুদ্ধে দু’জনও সমর্থক পাওয়া যায়নি। পরে আমি আবার তৃণমূলে ফিরে আসি। দলের নেতা-মন্ত্রীদের তোষণ করতে পারব না। নেতা-মন্ত্রীরা এলে সকাল থেকে রাত অবধি সরকারি বাংলোয় চাকরগিরি করতে পারব না। আর রঞ্জন শীলশর্মার এরকম বিস্ফোরক অভিযোগের পর তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার পাশাপাশি রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ-রাজনীতি। তার থেকেও বড় কথা উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির জানাচ্ছে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতাকে কুর্নিশ। সবমিলিয়ে মুকুল রায়ের দ্বিতীয় উত্তরবঙ্গ সফর রীতিমত হাওয়া তুলে দিয়েছে বিজেপির পালে। আপনার মতামত জানান -