নাগরিকত্বের সমর্থনে পুস্তিকা প্রকাশ বিজেপির, জোর কটাক্ষ সোমেনের! কলকাতা জাতীয় রাজ্য January 6, 2020 নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশে লাগু হওয়ার পর থেকেই সরকার বনাম বিরোধীদের তরজা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, প্রায় প্রতিটি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে এই ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করছে। পাল্টা বিরোধীদের যুক্তি খন্ডন করতে ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তবে প্রথম থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে নিজের সুর সপ্তমে জড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপির বিরোধিতা নিঃসন্দেহে সকলের কাছে অত্যন্ত চমকপ্রদ হয়ে গেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলার আরও একটি রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের তোপের মুখে পড়তে হল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বস্তুত, প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 2024 সালের মধ্যে সারাদেশে এনআরসি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর সরকার এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। আর কেন্দ্রের দুই প্রধান ব্যক্তির দুই ধরনের মন্তব্যে তৈরি হয়েছিল বিভ্রান্তি। যা নিয়ে গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে বিরোধীদের তরফ থেকে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আর এবার এই ব্যাপারে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে রাজ্য বিজেপির পুস্তিকাকে মিথ্যাচার এবং স্ববিরোধী বলে উল্লেখ করেন বাংলায় এই কংগ্রেস নেতা। এদিন সোমেন মিত্র বলেন, “পুরনো রেকর্ড বাজানোর মতো 1950 সালের নেহেরু লিয়াকৎ চুক্তির অপব্যাখ্যা দিয়েই বিজেপির পুস্তিকা শুরু হয়েছে। দেশভাগের পর দুই দেশের সংখ্যালঘু সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ওই চুক্তি করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। তিনি ছিলেন বলেই 1947 সালে একটা ভাঙাচোরা দেশে আজও গণতন্ত্র রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। আর তার সুযোগ নিয়েই বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার তাদের মনগড়া কথা বলে ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারছে।” এদিকে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুই ধরনের কথা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, “যদি প্রধানমন্ত্রী সঠিক বলে থাকেন, তাহলে বাংলার বিজেপি ক্যাম্পে হিন্দু নেই বলছে কেন! মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই স্ববিরোধিতা।” সব মিলিয়ে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে বিজেপির পুস্তিকা নিয়ে জোর কটাক্ষ করে শোরগোল তুলে দিলেন বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। আপনার মতামত জানান -