লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির প্রবল উত্থানের পরই শাসক দল থেকে একের পর এক জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। যার ফলে একাধিক পৌরসভা এবং বিধানসভা সেই বিজেপির দখলে চলে যায়। আর এতেই অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দলের হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীদের পাঠিয়ে দলবদল রোখার চেষ্টা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ির সাপটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ শাসক দলের সদস্যরা বিজেপিতে নাম লেখানোয় সেই গ্রাম পঞ্চায়েতটি গেরুয়া শিবিরের দখলে চলে আসে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে ছুটে আসেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু কোনোওমতেই দলবদলের এই প্রক্রিয়াকে আটকানো গেল না।

সূত্রের খবর, সাপটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির পদমতি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি। জানা যায়, 12 আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দখলে 11 টি এবং বিজেপির দখলে 1 টি আসন ছিল। কিন্তু এবার এই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ মোট 5 জন বিজেপিতে যোগ দেন। আর এই ঘটনাতেই এবার তীব্র সোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে।

বিজেপির দাবি, ভবিষ্যতে আরও অনেক সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। সব মিলিয়ে এবারে সাপ্টিবাড়ির পর ময়নাগুড়ির পদমতি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতও বিজেপির দখলে চলে এল।