এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকাল ট্রেনে অবশেষে গ্রীন সিগন্যাল, কিন্তু ভিড় সামলানো হবে কোন পথে? উত্তরহীন সরকার-রেল!

লোকাল ট্রেনে অবশেষে গ্রীন সিগন্যাল, কিন্তু ভিড় সামলানো হবে কোন পথে? উত্তরহীন সরকার-রেল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা ভাইরাস নিয়ে একদিকে লড়াই চলছে সাধারণ মানুষ আর ডাক্তারদের। অন্যদিকে এরইমধ্যে এতদিনের বসে যাওয়া পরিষেবাকে সচল করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে দেখা গেছে সরকার প্রশাসনকে। তবে ভাবতে গেলে এইটুকু বোঝা যায় যে দেশের এত বড় একটি সিস্টেম একবার বসে যাওয়ার পরে সেটিকে পুনরায় স্বাভাবিক করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে সেই কথাটা কিন্তু খুবই স্বাভাবিক।

তাই একাধিক ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা যে উড়িয়ে দেয়া যায় না, সেই কথাই বলেছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষামুলকভাবে মেট্রো চালানোর পর ভালই সাড়া মেলে মেট্রো পরিষেবাতে। ফলে বঙ্গে আপাতত মেট্রো পরিষেবা রমরমিয়ে চলছে বলেই দেখা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে যেখানে লোকাল ট্রেনই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভরসা, সেখানে লোকাল ট্রেনের দাবিতে বিরোধ দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তবে সেই বিরোধের কথা মাথায় রেখে এবং মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে গত সোমবার নবান্নের কর্তাদের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়ে গেছে। আর সেখানেই আপাতত সবুজসংকেত দেখেছে রাজ্যবাসী।

কারণ নবান্নের তরফে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে সমস্যায় পড়েছেন রেল কর্তারা। কারণ করোনা আবহে লোকাল ট্রেনে যাত্রী সংখ্যাটা যেখানে অগণিত হওয়ার দাবী রাখে, সেখানে মাত্র ৬০০ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে কি করে, সেই কথা ভেবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। কাজেই ব্যাপারটা তাদের কাছে সেভাবে পরিষ্কার নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত বিগত কয়েকমাস লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, তাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হবে কিনা, সেই নিয়ে কিন্তু সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক রেল কর্তারাই। অন্যদিকে গত মাসে বিভিন্ন রেল যাত্রীদের যেভাবে অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে পুরোপুরি দূরত্ব বৃদ্ধি মানার ঘটনা ভবিষ্যতে মানুষ কতটা নিয়মমাফিক করতে সমর্থ হবেন সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেই সঙ্গে আপাতত অল্প সংখ্যায় ট্রেন চালানো হলেও পরবর্তীকালে ট্রেন বাড়ানো হবে কিনা সেই নিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে রেল স্টেশনের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে হকার সমস্যা। সেই হকার সমস্যা কিভাবে মিটিয়ে ট্রেন চালানো যাবে, সেটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ রেল কর্তৃপক্ষের কাছে।

সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন গ্যালোপিং ট্রেনের কথাই হয়তো ভাববেন রেল কর্তারা। সেক্ষেত্রে হয়তো যাত্রী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হলেও হতে পারে। সেইসঙ্গে বৈধ টিকিট, মাস্ক এবং করোনা বিধি পালনের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করেছেন কেউ কেউ। সেইসঙ্গে ট্রেন যদি শুরু হয় সেক্ষেত্রে সকাল থেকে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই ট্রেন চালানোর কথাতে আপাতত গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে সোমবারের বৈঠকের ফলাফল অনুযায়ী আপাতত রেল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের তরফে যাত্রী সুরক্ষাকেই যে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেকথাও জানা গেছে। সেখানে মেট্রোর নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির কথা মাথায় রেখেই ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্র যেভাবে সমস্ত বিষয়টাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, সেভাবে এই রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হবে বলেও ধারণা করেছেন কেউ কেউ।

তবে এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে রাজ্যের তরফ থেকে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে বলেও জানা গেছে। তবে আজকের রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং রেল আধিকারিকদের ফের বৈঠকের পর এই সমস্ত ঘটনা আরো ভালো করে পরিষ্কার হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আগামীকাল রেল এবং রাজ্যের বৈঠকের কথা জানা গেছে। সর্বোপরি আপাতত রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ে যে ইতিবাচক মনোভাবই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সে বিষয়টা পরিস্কার হয়ে গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!