প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –যত দিন যাচ্ছে, ততই এগিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ জয়ের দিকে এখন সবথেকে বেশি নজর দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বাংলাকে পাখির চোখ করে রাজ্যে পা রেখেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে পর্যুদস্ত করতে এবার যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ময়দানে নামতে চলেছে তা বলাই যায়।

তবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার আগে এবার বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় বাংলার ব্যাপারে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেল‌‌। যেখানে সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বেশ ভালো ফল করবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কতগুলো আসনে বিজেপি জিততে পারে, সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সংখ্যা জানানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হতে শুরু করেছে।

তবে এই সমীক্ষাটি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে করা হলেও, সমীক্ষা যে হচ্ছে, তা রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাই নাকি জানতেন না। প্রথম দিকে 2019 সালের শেষের দিকে এবং চলতি বছরের জুলাই মাসে দুটি ধাপে এই সমীক্ষা করা হয়। আর সেখান থেকেই উঠে আসে যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভালো ফল করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বভাবতই অমিত শাহ বাংলা সফরে আসার সময় এই ধরনের সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির অন্দরমহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

অনেকে বলছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুব ভাল করেই জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে অত সহজে পরাস্ত করা সম্ভব নয়। তাই বাংলার বিজেপি নেতারা অপেক্ষা বেশি করে বাংলা সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় নেতারা সময় দিতে শুরু করেছিলেন। যার ফলস্বরুপ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার বঙ্গ সফর করেছেন। আর সেই অমিত শাহের সফরের সময় বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষার রিপোর্ট আশাপ্রদ হওয়ায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে খুশির হাওয়া তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন অনেক সমীক্ষা রয়েছে, যা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়, কিন্তু নির্বাচনের পর তা মেলে না। এক্ষেত্রে এটা কোনো বেসরকারি সমীক্ষার পূর্বাভাস নয়। বরঞ্চ এটি একটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা‌। স্বাভাবিকভাবেই একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের শক্তি যাচাই করবার জন্যই এই সমীক্ষা করার চেষ্টা করেছিল।

এক্ষেত্রে অনেক বিজেপি নেতাও এই সমীক্ষার কথা জানতেন না। তাই এই সমীক্ষায় জল মেশানোর ব্যাপারটা যে কম থাকবে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে। তাই অমিত শাহের সফরের সময়ে সেই রকম সমীক্ষা সামনে আশায় এখন নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হল। তবে ভোটবাক্স খোলার পর বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষার সাথে বাস্তব ফলাফল কতটা মেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।