এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি কি ক্রমশ চরমে উঠছে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিল ঘাসফুল শিবিরের অন্দরেই

পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি কি ক্রমশ চরমে উঠছে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিল ঘাসফুল শিবিরের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হত বিরোধীরা। কিন্তু যখন শাসক দলের সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেন, তখন নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়ে‌ দলীয় সংগঠন। জানা গেছে, এবার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ করা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় এখন তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং অন্যদিকে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় শাসকদল এখানে চরম অস্বস্তির মুখে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, মেমারি 1 ব্লকের আমাদপুর পঞ্চায়েতের দুই সদস্য পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উন্নয়নের টাকা থেকে তার সংসদীয় এলাকাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের 13 নম্বর সংসদের সদস্য বাহামনি সোরেন।

অন্যদিকে প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কোনো উন্নয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েতের সাত নম্বর সংসদের সদস্য অনিন্দিতা পাত্র। আর পঞ্চায়েত তৃণমূলের হওয়া সত্ত্বেও, যেভাবে দুই সদস্য পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ আনলেন, তাতে শাসক দলের অন্দরে এখন তীব্র ডামাডোলের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চলতি অর্থবর্ষে উন্নয়নের জন্য যে বরাদ্দ পঞ্চায়েত পেয়েছে, তা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। প্রতিটি সংসদে সমানভাবে টাকা বরাদ্দ না হওয়ায় এলাকাবাসী নানা কাছ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী আশিস পাল, তাপসী নায়ক বলেন, “আমদপুরে দলের দপ্তরে বসে উন্নয়নের জন্য 80 লক্ষ টাকা কয়েকটি সংসদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত জায়গাতেও ঢালাই রাস্তা হয়েছে‌। কিন্তু আমাদের কাদা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে।” কিন্তু এমনটা কেন হবে? কেন পঞ্চায়েত তৃণমূলের থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের দখলে থাকা সংসদীয় এলাকাগুলোতে উন্নয়ন পৌঁছাবে না? কেন এই বিমাতৃসুলভ আচারণ? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “2013 সাল থেকে ওই গ্রাম পিছু উন্নয়নের কাজে দেড় কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। আসলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।”

এদিকে কাজ না হওয়ার জন্য যেভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, তাতে কি তৃণমূল অশ্বস্থিতে পড়ল না? এদিনের এই ঘটনায় তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো আরও প্রকাশ্যে চলে এল! এদিন এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, “কারও ইচ্ছে হয়েছে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। নিজেদের মধ্যেকার ব্যাপার মিটিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে তৃণমূলের সদস্যরা সরব হয়েছেন, তাতে বিরোধীরা যে তাদের হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন তৃণমূল যদি তাদের শৃঙ্খলাকে সঠিকভাবে মেরামত না করে, তাহলে আগামী দিনে তাদের এরকম আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে‌। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!