এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সালিশি সভার “বিচারে” বিবস্ত্র করে গ্রাম ঘোরানো হল মহিলাকে! তীব্র বিতর্ক অনুব্রত-গড়ে!

সালিশি সভার “বিচারে” বিবস্ত্র করে গ্রাম ঘোরানো হল মহিলাকে! তীব্র বিতর্ক অনুব্রত-গড়ে!


বিতর্কিত মন্তব্যের দিক থেকে তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু তিনি সবসময় আইনমাফিক চলার নিদান দেন। আর সেই আইনের নিদান দেওয়া বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড়েই এবার ঘটল এক বেআইনি ঘটনা। সূত্রের খবর, এবার মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী হল নানুরের খুজুটিপারা গ্রাম।

জানা গেছে, এই গ্রামের এক বিবাহিত যুবক বিজয়নাথের সঙ্গে গ্রামেরই এক বিবাহিত মহিলা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত 2011 সালে নিজের দুই পুত্র সন্তানকে ফেলে রেখে সেই মহিলা অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু পরের বছরই তিনি ফিরে এসে ফের নিজের মতো করে সংসার শুরু করলে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে ফের অভিযোগ ওঠে যে, ওই মহিলা আবার একজন যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।

কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সেই যুবকের সঙ্গে সেই মহিলার আবার সম্পর্কের অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার সেই যুবক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সাথে সাথেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। আর এরপরই সালিশি সভা ডেকে সেই অভিযুক্ত গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। পরে অবশ্য পুলিশ এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে খুজুটিপারা ক্যাম্পে রাখে। কিন্তু সেই মহিলা নিঃসন্দেহে দোষ করলেও কেন তাকে এইভাবে বিবস্ত্র করে সালিশি সভার নিদানে গোটা গ্রাম ঘোরানো হবে! এটা কি কোনো সুষ্ঠু সমস্যার সমাধান! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিদ্বজনদের একাংশ।

যদিও বা যে ভদ্রলোক বিষ খেয়ে মারা গেছে, তার স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীর সঙ্গে ওই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সে আমার স্বামীর থেকে টাকা পয়সা দাবি করেছিল। আবার টাকা পয়সা চাওয়ায় আমার স্বামী সেটা দিতে অস্বীকার করায় অন্য ছেলের সঙ্গে সেই মহিলা সম্পর্ক গড়ার কথা বলে। সেই কথা সহ্য করতে না পেরে আমার স্বামী বিষ খেয়ে নিয়েছে। হাসপাতালে মারা যাওয়ার আগে এই সমস্ত কথা ও আমাকে বলে যায়।”

কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ কি সত্যি! এদিন তিনি বলেন, “আমি ওই যুবকের সঙ্গে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম। পরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সে শুনতে চাইছিল না। তারপর ও কিভাবে মারা গিয়েছে, তা আমি জানি না।”

তবে এই গোটা ঘটনা নিন্দাজনক হলেও তার থেকেও বেশি নিন্দাজনক, যেভাবে অভিযুক্ত মহিলাকে সালিশি সভার নিদানে বিবস্ত্র করে গোটা এলাকায় ঘোরানো হল, তাতেই কি কোটা সমস্যার সমাধান হয়ে গেল! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সমাজকর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!