এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফিরে এল স্টাফ সিলেকশন কমিশন, এবার কি রাজ্যে হবে কর্মসংস্থান? প্রশ্ন বেকার যুবক-যুবতীদের

ফিরে এল স্টাফ সিলেকশন কমিশন, এবার কি রাজ্যে হবে কর্মসংস্থান? প্রশ্ন বেকার যুবক-যুবতীদের

প্রতিক্ষার অবসান। অবশেষে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল ‘দি ওয়েস্টবেঙ্গল স্টাফ সিলেকশন কমিশ বিল, ২০১৯’। এই বিল পাশ হওয়ার ফলে পুনরুজ্জীবন হল দি ওয়েস্টবেঙ্গল স্টাফ সিলেকশন কমিশন অ্যাক্ট’২০১১। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিরাট সংখ্যক নন-পাবলিক সার্ভিস কমিশন পদগুলি দ্রুত পূরণ করার জন্য এই স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মতো সংস্থার প্রয়োজন।

আর তাই গত ২০১৭ সালে পাশ হওয়া দি ওয়েস্টবেঙ্গল স্টাফ সিলেকশন কমিশন অ্যাক্ট বাতিল করে পুরনো আইনটিই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জানা যায়, গত 29 আগস্ট এই বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিলের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা না থাকায় তাতে আপত্তি জানায় বিরোধীরা। আর তার ফলেই সেদিন এই বিল নিয়ে সমস্ত আলোচনা স্থগিত করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই ঠিক হয় যে, আগামী 3 সেপ্টেম্বর ফের এই বিলটি উপস্থাপন করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু প্রস্তাবিত এই বিলের জন্য অর্থনৈতিক প্রভাব কতটা পড়বে, তা নিয়ে কোনও আলোচনা না থাকায় এদিন বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বিরোধীদল বাম এবং কংগ্রেসের তরফে তীব্র আপত্তি তোলা হয়। কিন্তু বিরোধীরা এই ব্যাপারে তাদের আপত্তি জানালেও তা সম্পূর্ণরূপে খণ্ডন করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

অ্যাডভোকেট জেনারেলের ব্যাখ্যা সহ গোটা বিষয়টি বিধানসভার অধিবেশন উপস্থাপন করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। যেখানে তিনি বলেন, “যে কোনও বিলের রিপিলিংয়ের রিপিলিং করা যায়, এমন বিধান রয়েছে কেন্দ্রের আইনে। দি ওয়েস্টবেঙ্গল স্টাফ সিলেকশন কমিশন অ্যাক্ট, ২০১১ ফের চালু হওয়ায় পুরনো অর্থনৈতিক প্রভাবই কার্যকর হচ্ছে।” কিন্তু শাসকদলের পক্ষ থেকে এহেন বক্তব্য দেওয়া হলেও বিরোধীরা তাদের অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র নড়েনি।

সূত্রের খবর, এদিন বিল নিয়ে আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ যখন সদস্যদের মতামত নিতে চলেছেন, ঠিক তখনই বিষয়টি নিয়ে ডিভিশ চান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। যার ফলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট গ্রহণের অনুমতি দেন।

জানা যায়, বিরোধীদের চাওয়া ডিভিশনের পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোট নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হলে ভোটাভুটি পর্বে চিরকুট বিলি করা হয় সদস্যদের মধ্যে। ওই চিরকুটেই ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ লিখে সমস্ত সদস্যরা তা জমা করেন। আর এই ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে গিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ৯৬-২৭ ভোটে জিতে গিয়েছে শাসকবেঞ্চ। তবে এদিনের এই ভোটপর্বে রাজ্য বিধানসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই তা করা হয়েছে। কিন্তু উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে ভোট দেননি তিনজন সদস্য। তবে বিরোধীরা বাড়তি দুটি ভোট কোথা থেকে পেল, তা নিয়ে অধিবেশন কক্ষেই শুরু হয়ে যায় তীব্র গুঞ্জন।

এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ অন্যের ভোট দেওয়াতেই এটা হয়েছে।” এদিকে ভোট পর্ব শেষে বিলের উপর সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের আনা একটি সংশোধনীও গ্রহণ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে বিধানসভায় পাশ হয়ে ফের ফিরে এল স্টাফ সিলেকশন কমিশন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!