এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃনমূলের বৈঠক ঘিরে জল্পনা

তৃনমূলের বৈঠক ঘিরে জল্পনা

রবিবার দুপুরে কোচবিহার জেলা তৃনমূলের কোর কমিটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলার মন্ত্রী, বিধায়ক ,সাংসদ, ছাড়াও কোর কমিটির অন্য সদস্যরাও । বৈঠকের কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিকে শক্তিক্ষয় করার জন্যই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করবে দল। কিন্তু কিছুক্ষন পরই বিজেপিকে পরাস্ত করা নয়, নিজেদের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঝামেলার শব্দ বেরিয়ে আসে ওই ঘর থেকে। কার্যত বেআব্রু হয়ে যায় বৈঠকের উদ্দেশ্য। তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে রীতিমত চিন্তিত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে দলের শীর্ষ নেতারা। যদিও এদিন এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোচবিহার জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব এক সুরে বলে ওঠেন গোষ্ঠীদ্বন্দের কোনও ব্যাপারই নেই।

যদিও দলীয় সূত্র বলছে অন্য কথা। দলেরই একাংশের দাবি, মেখলিগঞ্জ থেকে শুরু করে দিনহাটা, কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্র, গোসানিমারী ,চান্দামারিতে মাথাচাড়া দিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ। কিন্তু দলেরই জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দের কোনও ব্যাপার নেই। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের কর্মী-নেতারা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন। আগামীদিনের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।কিভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কাজের বিরোধিতা করে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় তাও ঠিক করা হয়েছে ।একই সঙ্গে সাংসদ তথা জেলার যুব সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়-এর গলায় একই সুর। তিনি বলেন, দলের নানা বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।আগামীদিনে দলের নেতৃত্বের পরামর্শ মেনেই কাজ হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলা হবে।

বিশেষ সূত্রে দাবি গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে আসন্ন বিপদের আন্দাজ করতে পেরে এই বৈঠক ।দলের প্রত্যেকের কার, কোথায় সমস্যা সবই জানতে চাওয়া হয় এদিন। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, তৃনমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ রয়েছে এটা মানতে অসুবিধা কোথায়? সমস্যাকে ধামা চাপা না দিয়ে সমাধান করার রাস্তা বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নাহলে এই গোষ্ঠীদ্বন্দর সুযোগে রাজ্যে বিজেপির ভোট বাড়াতে শাসকদলেরই একাংশ ঝুঁকবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!