অপারেশন শেষ, আপনারা আসতে পারেন – অমিয় পাত্রের বাড়ি ভাংচুরে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্য April 30, 2018 সিপিএমের বাঁকুড়ার সিপিএমের শীর্ষ নেতারা একের পর এক হামলা মুখে পড়ছে পঞ্চায়েতে ভোটের আবহে।অভিযোগের আঙুল উঠছে শাসকদলের দিকে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে,বাসুদের আচারিয়ার পর শাসকদলের কোপের মুখে পড়ল বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন সম্পাদক ও সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র।জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহাকুমা এলাকায় জেলা পরিষদের মোট ১৫ টি আসনের ১৪ টিতেই পার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে বামেরা।তালড্যাংরা ব্লক থেকে ২ টি আসনের ভিতর একটিতে মনোনয়ন দিয়েছেন অঞ্জলি মান্ডি যিনি এই ব্লকের নন।তাই অমিয় বাবু যদি মনোনয়ন তুলে নেন তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদল জিতে যাবে।এই কারণেই পরিকল্পিত ভাবে হামলা করা হয় বাম নেতা অমিয় বাবুর উপর।এমনটাই লালশিবিরের দাবী। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অভিযোগে অমিয় বাবু জানান,শনিবার সকাল পৌনে ১১ টা নাগাদ তাঁরা বাড়িতে ৫০-৬০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতির দল ধাক্কাধাক্কি করে বন্ধ দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে।জানলা দরজার কাঁচের পাশাপাশি ফ্রিজ,এসি মেসিন,সাইকেল, ওয়াকার,ইলেকট্রিকেরর সব সরঞ্জাম,ইনভার্টার,সুইচবোর্ড সব ভেঙে দেয়।অমিয় বাবু ও তাঁর স্ত্রীকে লক্ষ্য করে ইটও ছোঁড়ে তাঁরা,সঙ্গে ছিল গালিগালাজের বর্ষণ এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি।তাঁদের একটাই দাবী ছিল, জেলা পরিষদ থেকে সমস্ত সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে।পাত্র দম্পতি কোনোরকমে দোতালার একটা ঘরবন্দি হয়ে প্রাণে বাঁচেন।১০-১২ মিনিট তান্ডব করে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।অমিয় বাবুর আরো জানান যে ঘরবন্দি অবস্থায় ভয় পেয়ে তাঁরা ফোন করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহকে।কমিশনার বিষয়টি দেখাতে বোধহয় দুষ্কৃতিরা কিছুক্ষণ পরে বেরিয়ে যায়।তিনি আরো বলেন,ওরা বেরিয়ে যেতে যেতে বলল, “প্রার্থী না তুললে আমরা আবার আসব। ছাড়ব না। তার পর কাউকে একটা ফোন করে বলে, আমাদের অপারেশন শেষ। আপনারা আসতে পারেন।” অমিয় বাবু জানান যে, তিনি দুষ্কৃতিদের ভিতর অনেককে সনাক্ত করতে পেরেছেন তবে কিছু বাহিরাগতও ছিল। তবে স্বাভাবিকভাবেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,” এই ঘটনার সাথে আমাদের দলের কোনো যোগ নেই।” আপনার মতামত জানান -