এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েতের আগে শাসকদলের করা করা বিজেপির ‘টার্গেট’, সামনে এল সেই তালিকা

পঞ্চায়েতের আগে শাসকদলের করা করা বিজেপির ‘টার্গেট’, সামনে এল সেই তালিকা

তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে একটা বেশ উৎসাহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে তাঁর হাত ধরে শাসকদলে একটা বড় ভাঙ্গন ধরতে চলেছে। কিন্তু খনও বড়সড় কোনও নাম মুকুল বাবুর সঙ্গে আসেনি বিজেপিতে। তবে কি মুকুল রায়কে দলে নেওয়াতে কোনো লাভই হল না বিজেপির? মুকুল অনুগামী শিবিরের বক্তব্য, আসল সময়েই বুঝতে পারবেন তৃণমূলের কতবড় ক্ষতিটা হল! কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করার সময়েও সেভাবে কোনো বিধায়ক-সাংসদ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেননি, কিন্তু ভোটের প্রাক্কালেই দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস থেকে বহু বড় নাম হাতে তুলে নিয়েছিলেন জোড়াফুলের পতাকা। এবারও পরিস্থিতি অনেকটা সেরকমই।
সূত্রের খবর অনুযায়ী পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করে আপাতত বড় নামের দিকে ছুটতে রাজি নয় বিজেপি শিবির। বরং মুকুল রায়ের পরামর্শ মেনে নিচুতলার তৃণমূলের কর্মীদের ভাঙ্গিয়ে নিতে পরিকল্পনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবং তার প্রতিফলনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন শতাধিক কর্মী, নিজের অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ। মুর্শিদাবাদেও প্রায় ছশো তৃণমূলকর্মী ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে গেছেন। জানা যাচ্ছে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের টার্গেট পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যের সব বুথে বিজেপি কর্মী তৈরি করা। আর তাই আপাতত তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে টার্গেট করেছে বিজেপি। বড় কোনও নেতা না এলেও দিলীপবাবু চান অন্তত ২০ হাজার তৃণমূলকর্মীকে খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিতে নিয়ে আসতে। আগামী একমাসের মধ্যে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের হাত ধরে দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা ও নদীয়া থেকে এই ২০ হাজার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীকে বিজেপিতে আনতে মরিয়া বিজেপির রাজ্যনেতারা। তার পরের ধাপে ‘টার্গেট’ মুর্শিদাবাদ ও উত্তরবঙ্গ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!