প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশনের রাজ্য সফরের সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অবাধ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ভোটগ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছিল। এরপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আস্বস্থ করা হয়েছিল যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাড়ানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। এরপর আজ সকালেই রাজ্যে এসে পৌছালো ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ। বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পূর্বেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি।

প্রসঙ্গত, গতকাল বিএসএফের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক চলছিল দীর্ঘক্ষণ ধরে। আগামী ২৫ সে ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যে আসতে চলেছে মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার মধ্যে থাকবে সিআরপিএফ, আইটিবিপি, বিএসএফ, সিআইএসএফ, এসএসবি। আজ সকালে রাজ্যে এসে পৌছালো ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ। সিআরপিএফের ২ টি কোম্পানি দুর্গাপুর স্টেশনে নেমেছে। সেখান থেকে ১ টি কোম্পানি বীরভূম ও ১ টি কোম্পানি রওনা দিলো বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে।

সিআরপিএফের ১ টি কোম্পানি বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। ৫ টি কোম্পানি ডানকুনিতে পৌঁছাবে। কলকাতা স্টেশনে নামতে চলেছে ৪ টি সিআরপিএফ কোম্পানি। সম্প্রতি এরিয়া ডমিনেশন ও রুট ম্যাপ করার কাজে নিযুক্ত হতে চলেছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। সম্প্রতি সিআরপিএফ জওয়ানরা বিধান নগর, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, হুগলি, ব্যারাকপুর, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমানের বিভিন্ন স্থানে টহলদারি চালাবেন।

রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন সম্পর্কে বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, আসুক না, কত বাহিনী আসবে? গত ২০১৬ সালেও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে যদি কোন পক্ষ নেয়, তা হলে তাঁরা ছেড়ে দেবেন না। এরজন্য তাঁদের কর্মীরা প্রস্তুত আছেন। অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও খেলা হবে আরও বেশি করে।