এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবারো বড়সড় অস্বস্তিতে শাসকদল! চাল পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা!

আবারো বড়সড় অস্বস্তিতে শাসকদল! চাল পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ করোনা ভাইরাস এবং দুর্যোগ আমপানের মধ্যে মানুষকে সহযোগিতা করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সকলকে সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে নানা জায়গায় রেশনের চাল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া চলছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার রেশনের চাল অন্যত্র পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন ক্রান্তি এলাকার তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মানবেশ বিশ্বাস এবং তার ভাই অনিমেশ বিশ্বাস। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটার সময় ক্রান্তী অঞ্চলের সাত হাত কালীবাড়ি এলাকায় এই চাল পাচারের ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই এলাকাতেই তৃণমূল নেতা মানবেন্দ্র বিশ্বাসের মুদির দোকান রয়েছে‌।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ, একটা ম্যাটাডোর ভ্যানে করে রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতা এবং তার ভাই লোক লাগিয়ে বস্তাভর্তি চাল পাচার করছিল। আর সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তা ধরে ফেলে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূল নেতা এবং তার ভাইকে চাল পাচারের অভিযোগে ধরে নেওয়ার সাথে সাথেই গাড়ি চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে প্রায় 7 বস্তা চাল রাস্তায় পড়ে যায়। আর এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে তা সিজ করে নেওয়া হয়। কিন্তু যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ত্রাণ নিয়ে কোনো দুর্নীতি করবেন না।

সেখানে কেন তৃণমূল নেতারা এভাবে চাল পাচারের ঘটনায় ধরা পড়ছে? এতে কি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ছে না? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী আকাশ নামে একটি সেলফ হেল্প গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। যে সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মাধ্যমে সেখানকার যোগেশচন্দ্র চা-বাগানে রেশন দেওয়া হয়। আর সেই চাল সাতহাত কালীবাড়ির মুদির দোকানের পাশে যে গুদাম রয়েছে, সেখানে রাখা হয়। শুক্রবার রাতে সেই চালই তারা পাচার করার চেষ্টা করছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছুদিন আগেই এক বিজেপি নেতা চাল পাচারের ঘটনায় ধরা পড়ায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই ঘটনাটি ইস্যু করে বিজেপিকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার যেভাবে এক তৃণমূল নেতা এবং তার ভাই চাল পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন, তাতে বিরোধীদের অভিযোগ অনেকটাই সত্যি হল এবং তৃণমূল যে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূলের অস্বস্তি এই ব্যাপারে কতটা বাড়াতে সক্ষম হয় বিরোধীরা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!