ভোটে জিতে দেখা নেই নেতাদের! গেরুয়া গড়েই ক্রমশ মাটি হারাচ্ছে বিজেপি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য June 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের মাটিতে ফুটে গিয়েছিল পদ্মফুল। তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ একাধিক লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা। আর তারপর থেকেই এই অঞ্চলগুলোতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এবার সেই বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেখানে বিজেপি ক্ষমতা দখলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে জঙ্গলমহলে এই উলটপুরান গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এবার বিজেপি নেতৃত্ব এবং সাংসদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পুরুলিয়া 1 ব্লকের পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রাক্তন সংগঠকরা। জানা গেছে, রবিবার পুরুলিয়ার রাঁচি রোডে অবস্থিত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পুরুলিয়া 1 পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির নির্বাচিত সদস্য, দুজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সহ আরও একাধিক নেতৃত্বদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। কিন্তু কেন হঠাৎ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভোটে জেতার পর থেকে সাংসদ সংগঠকদের সঙ্গে দেখা করতেন না। তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নানা রকম বাধা এবং দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হত।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁদের আরও অভিযোগ, “জেলা সভাপতি এবং অন্য জেলা নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে কথা বলতে গেলে উপেক্ষা করত। তারা বলতেন, তোমাদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের ভোটে জিতেছে বিজেপি। এরকম ঔদ্ধত্য, অহংকার নিয়ে বিজেপি দল চলছে। তাই সেই দলে থেকে মানুষের কাজ করা যাবে না বলেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” আর বিজেপির প্রাক্তন নেতার এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে, তাদের মূল অভিযোগ জেলা নেতৃত্ব এবং বিজেপির পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই জ্যোতির্ময়বাবুর বিরুদ্ধে একটি বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। যেখানে স্পেশাল ট্রেনে করে এক পরিযায়ী শ্রমিক আসলে তার শিশু ট্রেনের মধ্যে মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও বিষয়ে নীরবতা পালন করে গিয়েছেন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। তারপর অনেক বিজেপি কর্মী এমনকি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যুবকরা একত্রিত হয়ে সেই জ্যোতির্ময়বাবুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন। তবে এই ঘটনার পরেই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে বলে সেই সমস্ত যুবকদের গায়ে তৃণমূলের তকমা সেটে দিতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদ এবং জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে। যার ফলে সেই সমস্ত যুবকরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। আর এবার সেই সাংসদের বিরুদ্ধে যেভাবে সরব হয়ে বিজেপির একাধিক নেতা-কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন, তাতে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠে গেল দলের অন্দরেই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -