এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঠাকুরনগরে মতুয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভা আটকাতে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিনব অভিযোগ

ঠাকুরনগরে মতুয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভা আটকাতে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিনব অভিযোগ

নানা জটিলতার পর আগামী 2 রা ফেব্রুয়ারি গাইঘাটার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসার ব্যাপারে প্রাথমিক দিনক্ষণ স্থির হয়েছিল। কথা ছিল যে ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মেলার মাঠেই তিনি সভা করবেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর এই সভা করা নিয়েও তীব্র জটিলতা তৈরি হলো।

সূত্রের খবর, 28 জানুয়ারি থেকে 5 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মতুয়া সম্মেলন করার জন্য এই মাঠটিতেই অনুমতি চেয়ে রেখেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। আর এখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে প্রধানমন্ত্রীর সভাকে ভেস্তে দেওয়ার জন্য স্থানীয় সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর আগে থেকেই মতুয়া সম্মেলনের নাম করে এই মাঠের জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বিজেপির এই অভিযোগ কতটা সত্যি?

জানা গেছে, এই মাঠে মতুয়া সম্মেলন করার জন্য বড়মা বীণাপাণি দেবীর অনুমতি পত্র নিয়ে সেখানে মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গাইঘাটা থানায় আবেদন করেছিলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। আর এরপর গত 24 শে জানুয়ারী থানার পক্ষ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাওয়ার পাশাপাশি বনগাঁর মহকুমা শাসকও সেখানে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সম্মেলন করার জন্য অনুমতি দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সভাকে ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি শাসকদলের। আর এই ঘটনাকে নিয়েই এবার সেই ঠাকুরনগরে জোর তরজা শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। আর এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য সেই মাঠ পরিদর্শন করতে আসেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সেইখানে এসেই তিনি বলেন, “এটা বিজেপির সভা নয়। মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভা করতেই প্রধানমন্ত্রী আগামী 2 রা ফেব্রুয়ারি এখানে আসবেন।”

কিন্তু যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর সভা হয়, তাহলে বিজেপি নেতা হিসেবে তিনি এই মাঠ পরিদর্শন করলেন কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল বাবু বলেন, “আমাদের দায়িত্ব তো আমরা অস্বীকার করতে পারি না।” এদিকে প্রধানমন্ত্রী সভায় জন্য মাঠের অনুমতি নেওয়া হলেও তা পাওয়া না যাওয়ায় ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য শান্তনু ঠাকুর শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এই মেলার মাঠে যখন মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে এসেছিলেন তখন আমরা বাধা দিইনি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন আমাদের সব সময় হেনস্তা করছে। তাই যে যাই বলুক না কেন, আগামী 2 তারিখ এই মেলার মাঠেই আমরা সভা করব।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগরে আসতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু উনি কবে আসবেন সেটা আমরা জানবো কি করে! আমাদের সম্মেলন আছে, তাই আমরা মাঠের অনুমতি নিয়েছি।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মোদি ওই মাঠে আসবেন না। বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা নাটক করছেন। যদি মতুয়াদের জন্য মোদীজি সেখানে আসেন, তাহলে মুকুল রায় সেই মাঠ পরিদর্শনে কেন আসলেন! আসলে বিজেপি ঠাকুরবাড়ি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।” সব মিলিয়ে এবার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভা হওয়া নিয়ে জোরালো তরজায় জড়িয়ে পড়ল রাজ্যের শাসক বনাম বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!