এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সাধারণ মধ্যবিত্ত ও কৃষকদের জন্য বড়সড় ‘উপহার’ ঘোষণার পথে প্রধানমন্ত্রী, খরচ হতে পারে ১ লক্ষ কোটি টাকা

সাধারণ মধ্যবিত্ত ও কৃষকদের জন্য বড়সড় ‘উপহার’ ঘোষণার পথে প্রধানমন্ত্রী, খরচ হতে পারে ১ লক্ষ কোটি টাকা

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির সামনে দুটি রাস্তা খোলা ছিল। এক, আগের সরকারগুলির দেখানো পথেই জনমোহিনী হয়ে নিজের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে নেওয়া। আর দুই, দেশের অর্থনীতির কড়া সংস্কার করে ভারতের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করা। দ্বিতীয় পথটি নিতে গেলে অবশ্যই আমজনতাকে খুশি করা যাবে না – কিন্তু গেরুয়া শিবিরের মতে দেশের স্বার্থে সেই কড়া দাওয়াইয়ের পথটিই বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

আর এখন যখন পরবর্তী নির্বাচন আসন্ন, বিরোধীরা যখন সাধারণ মানুষকে নরেন্দ্র মোদির ‘আমজনতার জন্য কিচ্ছু করেননি’ ভাবমূর্তিটি তুলে ধরে তাঁকে কোনঠাসা করতে চাইছেন – ঠিক তখনই গত সাড়ে চার বছর ধরে কঠিন পথে চলার পর এবার জনমোহিনী পথে হাঁটতে পারেন প্রধানমন্ত্রী বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। যদিও, এই প্রসঙ্গে দেশের অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলির বক্তব্য, বাজেটের দড়ি টানাটানি ত্যাগ করে এই নীতি থেকে দূরে অবস্থান করে এনডিএ। গত পাঁচ বছরের কাজে আমরা আত্মবিশ্বাসী ও গর্ব বোধ করি। গত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতির পুনরুত্থানে সফল এনডিএ সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, একইসাথে জল্পনা ছড়িয়েছে দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত ও কৃষকদের জন্য এবার বড়সড় ধামাকা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর যে ধামাকার আর উত্তর খুঁজে পাবেন না বিরোধীরা। কি সেই ধামাকা? সাধারণ মধ্যবিত্তদের জন্য আয়করে কল্পনাতীত ছাড় দিতে চলেছেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে যা শোনা যাচ্ছে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আর কোনো ইনকাম ট্যাক্স লাগবে না, যা এতদিন ছিল আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ ট্যাক্স ছাড়ের পরিমান একবারে দ্বিগুন করে দিতে চলেছেন তিনি।

অন্যদিকে, কৃষকদের জন্যও থাকতে চলেছে বড়সড় উপহার। প্রথমত কৃষকরা এবার থেকে পেতে চলেছেন – সুদহীন কৃষিঋণ। অর্থাৎ, যে টাকাটা লোন হিসাবে নেবেন, ফেরত দিতে হবে শুধু সেই টাকাটাই। পুরো বছরের সুদ এবার থেকে মকুব হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশিই, সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্যও পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। তা এককালীনও হতে পারে বা মাসে মাসেও হতে পারে। আর এই সাবের জন্য মোট খরচ হতে পারে ১ লক্ষ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ট হিসেবে সরকারকে দিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর বাকিটা টাকাটা কেন্দ্র সরকার নিজে জোগাড় করতে চলেছে। সব মিলিয়ে – এবার কড়া হেডমাস্টারমশায়ের চেয়ার ছেড়ে কল্পতরু হওয়ার পথে দেশের প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!