এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজ্যপালকে ঢাল করেই কি লড়াই করতে চাই রাজ্য বিজেপি? কি পরিকল্পনা জানালেন রাজ্য সভাপতি!

রাজ্যপালকে ঢাল করেই কি লড়াই করতে চাই রাজ্য বিজেপি? কি পরিকল্পনা জানালেন রাজ্য সভাপতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিন দিন রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করছে। রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সম্প্রতি দিল্লি গেছেন রাজ্যপাল, করেছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। এই আবহে রাজ্যপালের অপসারণ নিয়ে একাধিকবার দাবি তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আবার কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই রাজ্যপাল গেছেন দিল্লিতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বারবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যপালকে ঢাল করেই কি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় রাজ্য বিজেপি? এ প্রসঙ্গে বিশেষ বক্তব্য রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সম্প্রতি, একটি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, তিনি মনে করেন রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করে কোন সমস্যার সমাধান হয় না। তিনি বিশ্বাস করেন, ময়দানে লড়াই করে বিরোধী দলকে মানুষের সমস্যা তুলে ধরতে হবে। এতেই দল মানুষের স্বীকৃতি পাবে। রাজভবনে গিয়ে যদি বারবার লাইন দিতেন, বারবার ছবি তুলতেন তাহলে রাজ্যে বিজেপি বাড়তে পারত না। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ফটো তোলার অর্থই হলো নিজেকে দুর্বল প্রমাণ করা, নিজেকে লড়াইতে ভীত বলে প্রমাণ করা।

তিনি জানালেন, তাঁরা লড়াই লড়বেন। রাজ্যপাল কেন তাদের হয়ে লড়তে যাবেন? কিন্তু দু-একবার তিনি রাজভবনে গেছেন। তবে সেটা নিরুপায় হয়েই গেছেন। রাজনীতির জন্য রাস্তাতেই লড়াই করতে হবে। রাজ্যপাল তাতে কী করবেন? তিনি প্রশ্ন করেছেন, রাজ্যপালের ক্ষমতাই বা কি আছে? রাজ্য সরকার এই রাজ্যপালকে পাত্তাও দেয় না। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, রাজ্যপাল নিজের মতো করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের লড়াই তাঁরাই লড়বেন? রাজ্যপাল কেন লড়তে যাবেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার রাজভবনে বিজেপি নেতৃত্বর অভিযোগ জ্ঞাপন প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, বিজেপিকে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। মানুষ যখন তা দেখবে, তখন মানুষ তার সমর্থন জানাবে। যেদিন থেকে বিজেপি এটা করেছে, সেদিন থেকেই বিজেপি বাড়তে শুরু করেছে। মানুষের সমর্থন বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, শুভেন্দু অধিকারী হলেন বিরোধী দলনেতা। বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে তিনি রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন। সেটা তিনি যেতেই পারেন। যখন প্রয়োজন মনে হবে তখনই যাবে দল। প্রয়োজনে তিনিও যেতে পারেন।

আবার, ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ বারবার আসার পর রাজ্যপাল একাধিক স্থান পরিদর্শন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, রাজ্যপাল যাওয়াতে বাস্তবটা সামনে চলে এসেছে। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিতে চাইছেন যে, রাজ্যপালের ভরসায় চলে না রাজ্য বিজেপি। বিজেপি দল হিসেবে নতুন নয়। বিজেপি যে মতাদর্শ নিয়ে চলে তা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সময় থেকেই চলে আসছে। তবে বিজেপি আন্দোলনের মধ্য দিয়েই নিজেকে বাড়াতে পেরেছে। দিল্লিতে বিজেপি জমানার অনেকেই রাজ্যের রাজ্যপাল হয়েছেন। বীরেন জে শাহ, কেশরী নাথ ত্রিপাঠী প্রমুখের কথা স্মরণ করলেন তিনি। তিনি জানান, এদের বিজেপির দালাল বলা হতো। কিন্তু সে সময় বিজেপি বাড়তে পারেনি, এখন বেড়েছে। বিজেপি মানুষের সমর্থন লাভ করছে। যা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সম্ভব হয়েছে।

ইতিপূর্বে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সময় থেকেই একাধিক দলের অভিযোগ ছিল রাজভবন বিজেপির রাজ্য দপ্তরে পর্যবসিত হয়েছে। আবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করা হয়েছে বারবার। এমনকি তাঁকে পদ্মপাল বলেও কটাক্ষ্য করা হয়েছে একাধিকবার। অনেকেই মনে করছেন যে, রাজ্যপালকে ঢাল করেই তৃণমূলকে বিপাকে ফেলতে চায় রাজ্য বিজেপি। এ বিষয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, রাজ্যপালের ভরসায় থেকে নয়, বিজেপিকে পথে নেমে লড়াই করতে হবে। মানুষের সমস্যা তুলে ধরতে হবে। তবেই মানুষের স্বীকৃতি ও সমর্থন পাওয়া যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!