প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল বসিরহাটে বিজেপির এক সাংগঠনিক সভায় যোগদান করেছিলেন বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি বা বাবু মাস্টার। দলের সভা শেষ করে রাতে কলকাতায় ফিরে আসছিলেন তিনি। সেসময় গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন। তাঁদের গাড়ি বাসন্তী হাইওয়েতে মিনাখাঁর লাউগাছি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে আসতেই, গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়।

গতকাল বাসন্তী হাইওয়েতে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ স্পিড বেকারের সামনে তাঁর গাড়ির গতি কমিয়ে দিতেই গাড়িতে ক্রমাগত গুলি ও বোমার আক্রমণ চলতে থাকে। গতকালের প্রাণঘাতী হামলায় গুরুতর আহত হন বিজেপি নেতা কামাল গাজি। আহত অবস্থায় তাঁকে লাউগাছি পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর গাড়ির চালক। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অ্যাপোলো হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি এখন বিপদমুক্ত আছেন।

তবে, অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, বিজেপি নেতার শরীরে অসংখ্য আঘাত আছে। বুকের বা দিক, মুখ, পিঠ ও হাতে প্রচুর আঘাত পেয়েছেন তিনি। বোমার স্প্লিন্টার, গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের কাঁচ ভেঙ্গে গিয়ে প্রচণ্ড আহত হয়েছেন তিনি। তাঁকে রাখা হয়েছে হাসপাতালের আইসিইউতে। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনায় একসময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন ফিরোজ কামাল গাজি। শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।

গত ১৯ সে ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। এরপর থেকেই হামলার আশঙ্কায় বসিরহাটে থাকতেন না তিনি। দলের কাজ শেষে ফিরে আসতেন কলকাতায়। গতকাল কলকাতায় ফেরার পথেই তাঁর ওপর হামলা হলো। গতকালের এই ঘটনায় বিজেপি অভিযুক্ত করেছে তৃণমূলকে। তবে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

আজ সকালে খড়্গপুরে চায় পে চর্চার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফিরোজ কামাল গাজির উপরে গতকালের প্রাণঘাতী হামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন যে, অনেকদিন ধরে টার্গেট করা হয়েছিল এই বিজেপি নেতাকে। তিনি জানালেন, বিরোধীদের ওপর এমন ধরনের প্রাণঘাতী আক্রমণ গণতন্ত্রে চলতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করছে তৃণমূল।