এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে নতুন অস্বস্তি, বিতর্ক বাড়ছে

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে নতুন অস্বস্তি, বিতর্ক বাড়ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টপেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে আলোড়ন উঠেছে। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিও চিন্তা বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে এবার রিজার্ভ ব্যাংকও তাঁদের তরফ থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর জন্য আবেদন করেছে মোদি সরকারের কাছে বলে জানা যাচ্ছে।। প্রসঙ্গত জানা যায়, 2014 সালে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ডিজেলের ওপর যে কর বসাতো তার 100 ভাগই কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে ভাগ হয়ে যেত। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে সেস-সারচার্য বেড়ে যায় পেট্রোল ডিজেলের ওপর। ফলস্বরূপ দুই থেকে চার শতাংশ রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ভাগ করে নেয়।

তবে এবার রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে দরবার শুরু হয়েছে পেট্রোল ডিজেলের মূল্য কমানোর জন্য। গত 4 জুন রিজার্ভ ব্যাংকের ঋণনীতি কমিটির পক্ষ থেকে পেট্রোল-ডিজেলের ওপর থেকে করের বোঝা কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। যেভাবে ক্রমশ মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে, তার হার এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। আর সেই সূত্রেই রিজার্ভ ব্যাংক তড়িঘড়ি আসরে নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, যার ব্যাংক শুধুমাত্র বিবৃতি দিয়ে নয়, এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলা শুরু করেছে।

বহু রাজ্যেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম 100 টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। কোনো কোনো রাজ্যে 100 টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে পেট্রল- ডিজেলের দাম। শোনা যাচ্ছে, বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতার মতেই এই মুহূর্তে পেট্রোলের দাম 100 টাকা ছোঁয়া রাজনৈতিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তবে উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার মতে, তেলের দাম লকডাউন কাটলে কম হতে পারে। কারণ সে সময় তেলের বিক্রি বাড়বে। তখন ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম যথেষ্ট চড়া। তাছাড়া পেট্রোল-ডিজেলের থেকে যে কর পাওয়া যায়, তা বর্তমানে করোনার মোকাবিলায় কাজে লাগানো হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংক পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর জন্য কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ের কাছেই আবেদন রেখেছে। কিন্তু তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী পি থিয়াগা রেড্ডী অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র পেট্রোল থেকে যে সিংহভাগই কেন্দ্রিয় কোষাগারে জমা রাখছে, সে ক্ষেত্রে অর্থ কমিশনের সূত্র মেনে 42%  রাজ্যগুলির মধ্যে বিলিবণ্টন করছেনা। জানা গিয়েছে 2014 সালে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলে 9.48 টাকা আদায় করত। তারমধ্যে 3.03 টাকা রাজ্য পেত। কিন্তু এখন কেন্দ্র আদায় করছে 32.09 টাকা, যেখানে রাজ্য পাচ্ছে শুধু মাত্র 57 পয়সা। ডিজেলের ক্ষেত্রেও একই ছবি বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য এক্ষেত্রে অন্যান্য ভ্যাট সহ অন্যান্য কর বসিয়ে যেটুকু আদায় করছে সেটুকুই তাঁদের নিজস্ব আয়।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য জানান, কেন্দ্রের অর্থভান্ডার এই মুহূর্তে চরম সংকটের মুখোমুখি। সেক্ষেত্রে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, রাজ্যের কাছ থেকে যতটা পরিমাণ পাওয়া যায় তা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানো নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপাতত রিজার্ভ ব্যাংকের আবেদন মেনে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানো নিয়ে কোন নতুন সিদ্ধান্ত নেয় কিনা, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!