এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা সত্ত্বেও আশঙ্কার কথা শোনালেন দিলীপ, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ!

দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা সত্ত্বেও আশঙ্কার কথা শোনালেন দিলীপ, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে তারা বিরোধী দলের জায়গা দখল করলেও, প্রতি মুহূর্তে তাদের উপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় নেতা-কর্মীদের আশ্রয় দিতে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। তবে তার মাঝেও তাদের জনপ্রতিনিধিরা নানা জায়গায় কাজ করার চেষ্টা করলেও, তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আর এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় যখন আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর, ঠিক তখনই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে গেরুয়া শিবির।

অর্থাৎ পরবর্তীতে বিপদের দিনে বিজেপি মানুষের পাশে থাকে না, এই অভিযোগ যাতে তৃণমূল কংগ্রেস না করতে পারে, তার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে দলীয় সমস্ত কার্যকর্তাদের কাছে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হলেও, দলীয় কার্যকর্তা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা কতটা মানুষের পাশে থাকতে পারবেন, তা নিয়ে কার্যত সংশয় প্রকাশ করলেন দলের রাজ্য সভাপতি। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

কেন মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেও এইভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গেল তাকে! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। একাংশ বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতি কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বিজেপিকে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এবং তাদের কার্যকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা যখন বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে যাবেন, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাতে বাধা দেওয়া হতে পারে। আর সেই ব্যাপারেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বস্তুত, আগামী সোম বা মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আছড়ে পড়তে পারে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস”। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি বিরোধী দল হিসেবে দলের সমস্ত কার্যকর্তাদের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও, অতীতের মতই তাদেরকে বাধা দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গেল মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদকে।

এদিন তিনি বলেন, “আমফানের সময় আমাদের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। বাধা পেয়েছিলেন আর এক সাংসদ জন বারলা। আমাকেও অনেক জায়গায় আটকে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ গাড়ি আটকেছিল। তার মধ্যেও আমরা 50 হাজার ত্রিপল‌ বিলি করেছিলাম। আমি চাইব, রাজ্য প্রশাসন যেন করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক রঙ না দেখে। সকলে সমান পরিষেবা পায় এবং সকলে যেন সেবাকাজ করতে পারেন।”

স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের এই দাবি যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে দিলীপ ঘোষ এই কথা বলে এখন থেকেই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, পরবর্তীতে বাধা আসলে তাদের কাজ করতে অনেকটাই অসুবিধে হবে। তাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তৃণমূলকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষ এই কথা বললেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল।

তাদের দাবি, নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। এখন মানুষের সহানুভূতি পেতে বিজেপি নানা কথা বলার চেষ্টা করছে। তবে বাংলার মানুষের পাশে আম্ফানের মতই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়কে রুখে দেওয়ার জন্য জনগণের পাহারাদার হিসেবে কাজ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!