এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অর্জুনের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ হেভিওয়েট সাংসদের, ভোটের আগে উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির!

অর্জুনের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ হেভিওয়েট সাংসদের, ভোটের আগে উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-দীর্ঘ জল্পনাকে সত্যি করে অবশেষে আজ দিল্লিতে বিজেপিতে যুক্ত হলেন অর্জুন সিংহ এবং অধিকারী পরিবারের অন্যতম সদস্য শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। মাঝে অর্জুন সিংহ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা ভোটের মুখে দল প্রতিশ্রুতি গিয়েও তাকে টিকিট দেয়নি। সেই কারণে তিনি বিজেপিতে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। তবে তার পাশাপাশি আরও একজন বড় নেতা বিজেপিতে যাবেন বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন। একটা জল্পনা ছিলই যে, সেই নেতা কি দিব্যেন্দু অধিকারী? অবশেষে সেটাই সত্যি হলো। একেবারে দিল্লিতে মেগা যোগদানের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনের তৃণমূলের সঙ্গে যে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে এবং বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করাই যে প্রধান টার্গেট, তা স্পষ্ট করে দিলেন এই দুই হেভিওয়েট নেতা।

প্রসঙ্গত, গতকালই অর্জুন সিংহ ঘোষণা করেন যে, তিনি বিজেপিতে যুক্ত হচ্ছেন। তবে বাংলা থেকে নাকি দিল্লি থেকে তার এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হবে! এই প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন বাবু বলেন যে, দিল্লিতেই তিনি যোগদান করবেন। পরবর্তীতে খবর পাওয়া যায় যে, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হচ্ছেন। অনেকে বলছেন, অর্জুন সিংহের বিজেপিতে ফিরে আসার মধ্যে নতুন কিছু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে হয়ত দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তিনি বিজেপির টিকিটেই সাংসদ হয়েছিলেন। আর যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তাকে এবারও বিজেপি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করার সুযোগ দেবে।

অন্যদিকে দিব্যেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে এই তৃনমূল দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন, যেদিন থেকে শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করেছেন এবং বিজেপির হয়ে লড়াই করেছেন, সেদিন থেকেই অধিকারী পরিবার থেকে দূরত্ব তৈরি করে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ থাকা সত্ত্বেও শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে আলোচনা করত না এই রাজ্যের শাসক দল। যার ফলে তারা ক্ষোভ পর্যন্ত প্রকাশ করেছিলেন। অবশেষে লোকসভা ভোটের মুখে দিব্যেন্দুবাবুও দল পরিবর্তন করে বুঝিয়ে দিলেন যে, তৃণমূলে আর থাকা যাবে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল এটাকে হালকা ভাবে নিতেই পারে। তারা বলতেই পারে যে, এই যোগদানে তাদের কিছু এসে যায় না। কিন্তু কতটা ফ্যাক্টর ভোটব্যাংকে কাজ করবে, সেটা তৃণমূল সময়েই বুঝতে পারবে। এমনিতেই তাদের দলের পরিস্থিতি এখন একেবারেই ভালো নয় সবদিক থেকেই মানুষ এই তৃণমূল দলের ওপর বিরক্ত। তার মধ্যে অর্জুন সিংহের মত হেভিওয়েট নেতা এবং অধিকারী গড়ে যে বৃত্ত অসম্পূর্ণ ছিল, সেই বৃত্ত এবার পূরণ হয়ে যাওয়ার কারণে তৃণমূলকে এক ঘরে করে দেওয়ার মত বড় সুযোগ পেয়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি। আগামী দিনে ব্যারাকপুর থেকে মেদিনীপুর, সর্বত্র ভোট বাক্স খোলার পরেই এর করুণ এফেক্ট চোখের সামনে দেখতে হবে এই রাজ্যের শাসক দলকে‌। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!