এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > যেখানে বিপদ সেখানেই শুভেন্দু, আমহার্ট স্ট্রিট কান্ডে বড় পদক্ষেপ! রাজ্যকে কটাক্ষ বিজেপির!

যেখানে বিপদ সেখানেই শুভেন্দু, আমহার্ট স্ট্রিট কান্ডে বড় পদক্ষেপ! রাজ্যকে কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তিনি বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তাদের পাশে দাঁড়াবেন, আর অন্যান্য তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যদি আক্রান্ত হন, তাদের পাশে দাঁড়াবেন না, এমন মনোভাব নিয়ে রাজনীতি করেন না শুভেন্দু অধিকারী। বারবার তার প্রমাণ তিনি দিয়ে দিচ্ছেন। নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তো তা স্পষ্ট করছেনই। পাশাপাশি যেখানে যারা শাসকদলের করছেন, যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, যারা প্রতিবাদ করে পুলিশ প্রশাসনের হুমকির মুখে পড়ছেন, তাদের পাশে গিয়েও দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি আমহার্ট স্ট্রিটের একটি ঘটনা গোটা রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পিটিয়ে এক ব্যক্তিকে থানার মধ্যে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। আর এই পরিস্থিতিতে সেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, আমহার্ট স্ট্রিটে অশোক কুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে মোবাইল চরাচালানকারী হিসেবে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। আর তারপরেই সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, থানার মধ্যে পিটিয়ে পুলিশ মেরে ফেলেছে। আর তারপর থেকে গোটা বিষয় নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে রাজ্য জুড়ে। পুলিশ কি করে এই ধরনের কাজ করতে পারে, কি করে আইন এভাবে নিজের হাতে তুলে নিতে পারে, তা নিয়ে সোচ্চার হয় বিরোধীরাও। আর এই পরিস্থিতিতে আজ সেই মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে বিজেপি নেতৃত্বরা। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর সাথেই কোনো রং না দেখে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকেও।

বিজেপির দাবি, পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড সম্পন্ন রূপে ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমহার্ট স্ট্রিটের ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণিত। আজকে এই রাজ্যের পুলিশ ভুলে গিয়েছে, কি করে দোষীদের শাস্তি দিতে হয়, অপরাধীদের জব্দ করতে হয়। তার বদলে তারা আইনকে হাতে তুলে নিয়ে নিজেরাই অনেক মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে। আসলে তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যের প্রশাসন। তবে পুলিশকে জব্দ করার জন্য যদি রাজ্যে কেউ থেকে থাকে, যদি রাজ্যে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হয়, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তাই তিনিও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজ্যের মানুষের প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে জোরালো করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী একবারের জন্যও বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিজের স্বার্থ দেখেননি। তিনি চেষ্টা করলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেটিং করে খুব সুবিধা জনক ভাবে এই পদের সুবিধে উপভোগ করতে পারতেন। কিন্তু সেই রাজনীতিতে না গিয়ে মানুষের স্বার্থে আওয়াজ তুলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে একটা জিনিস প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, যেখানে বিপদ, সেখানেই মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। কে দোষী, কতটা দোষী, তা তো আইন বিচার করবে‌। কিন্তু থানার মধ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু যখন প্রশ্ন তুলছে অনেক কিছুর, যখন পরিবার বলছে যে, তাদের বাড়ির ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তখন সেই বিষয়ে সঠিক তদন্ত চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। কারণ তিনি তো এই সরকারের দ্বারা যারা যারা অত্যাচারিত হয়েছে, যারা এই সরকারের দ্বারা প্রতিমুহূর্তে যন্ত্রণার শিকার, তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য তিনি মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। তাই মানুষের নেতা হিসেবে এবার শুভেন্দু অধিকারী সেই মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে পৌঁছে গিয়ে আমহার্ট স্ট্রিট কান্ডে সঠিক পদক্ষেপটাই নিয়েছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!