এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অর্থের বিনিময়ে তৃনমূলে টিকিট? দলটার সব শেষ, তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর!

অর্থের বিনিময়ে তৃনমূলে টিকিট? দলটার সব শেষ, তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেক আশা নিয়ে, অনেক ভরসা করে রাজ্যের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু সেই তৃণমূলের দ্বারা যেভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে গোটা বাংলা, তা অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি। যার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যারা দুর্দিনের বড় বড় সঙ্গী ছিলেন, তারা এখন অনেকেই তার সঙ্গ ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন বিরোধী শিবিরে। তার মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী। অন্তত কারও যদি মেরুদণ্ড থাকে, কারও যদি বিবেক থাকে, তাহলে সে তৃণমূল কংগ্রেস দলে থাকতে পারে না এবং সেখানে থেকে আর যাই হোক, মানুষের সেবা করতে পারবে না। বিরোধীদের অভিযোগ এমনটাই। এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছে এই দলটার যে, আজকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং সেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে খুন হতে হচ্ছে অনেক তৃণমূল কর্মীকে। কিন্তু এই খুনের কারণ কি? ক্ষমতা কে পাবে, তা নিয়ে যদি দড়ি টানাটানি শুরু হয়, তাহলে তো নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি বাড়বেই। আর যার কারণে বলি হবেন নীচুতলার কর্মীরা। এবার গোটা বিষয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন যে, “পুলিশ দাঁড়িয়ে জোর করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে টাকা দিয়ে টিকিট পাওয়ার নেতাদের জিতিয়ে দিয়েছে। আইপ্যাকের লোকেদের কাছে টাকা দিয়ে অনেকে টিকিট পেয়েছিলেন। এখন তাদের কাছে ক্ষমতা থাকবে, নাকি টাকা দেওয়া নেতাদের কাছে ক্ষমতা থাকবে, তা নিয়েই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যার কারণেই এই ধরনের খুনাখুনি বাড়ছে।” অর্থাৎ একটা জিনিস পরিষ্কার শুভেন্দুবাবু যে কথা বলেছেন তার মধ্যে দিয়ে যে, তৃণমূলে এখন টাকার বিনিময় ছাড়া কিছুই হয় না। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তো টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতারা দিয়েই থাকেন। এটা তো আজকে রাজ্যে একটা স্পষ্ট চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের কারা টিকিট পাবে, কারা বড় বড় পদ পাবে, সেখানেও এখন টাকার রফা চলছে। ফলে এই দলটা ভেতরে, বাইরে সর্বত্র দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বলেই দাবি করছেন সমালোচকরা।

বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু ক্ষমতা বোঝেন‌। নিজের আখের গোছানোতে সব থেকে বড় ওস্তাদ যদি কেউ হয়ে থাকে, তাহলে তিনি হচ্ছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী‌। তার সরকারের এত বড় দুর্নীতি হচ্ছে, তিনি একবারের জন্যেও প্রকাশ্যে এসে নিজের ভুলের কথাটা বলতে পারছেন না। এক ফোঁটা লজ্জা নেই মাননীয়ার। তিনি আবার নাকি সততার প্রতীক! তার দলের কর্মীরা খুন হচ্ছে, মারা যাচ্ছে, তারপরেও সহানুভূতি দেওয়ার মত সময় তার নেই। কারণ দলীয় নেতাদের কাছ থেকেও টিকিট নিয়ে টাকা তোলাতে ব্যস্ত তৃণমূল। তাই রাজ্যের মানুষের স্বার্থে তো বটেই, তৃণমূল কর্মীরাও চাইছেন, এই দল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, বিদায় নিক রাজ্য থেকে বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল কর্মীদের মনেও এখন একটা কথা আলোচনার পর্যায়ে এসেছে যে, দল করব, আবার টাকা দিয়ে টিকিট নেব! দল করব, আবার টাকা দিয়ে পদ নেব! তাহলে এই দল করে লাভ কি? দলের জন্য পরিশ্রম করে যদি টাকা দিয়েই সবকিছু নিতে হয়, তাহলে সেই দল তো যেদিন খুশি কর্মীদের ছুড়ে ফেলে দিতে পারে! আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের আদর্শ এবং নীতি বলে তো কিছু নেই। এখানে ব্যক্তি সর্বস্ব রাজনীতিই সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায়। নির্দিষ্ট একটি পরিবার কি করে ভালো থাকবে, সেই পরিবার কি করে সুখে থাকবে, সেটাই তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রধান টার্গেট। তাই সেই টার্গেট পূরণ করতে গিয়ে কর্মীদের কাছে ললিপপ দিয়ে গোছা গোছা টাকা তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের পকেটে ঘুরছেন। আর সেটা নিয়েই তৈরি হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার বলি হচ্ছেন নীচু তলার সরল কর্মীরা। শুভেন্দু বাবুর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!