এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লজ্জার মাথা খেলেন মমতা! বিজনেস সামিট নিয়েও চরম দুর্নীতি? হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু!

লজ্জার মাথা খেলেন মমতা! বিজনেস সামিট নিয়েও চরম দুর্নীতি? হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে নাকি শিল্পের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন মাননীয়া। এত শিল্প আসছে যে, সেই শিল্প রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছে না। প্রতি বছর ঘটা করে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এবারেও তা করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেখানেও টেন্ডার প্রক্রিয়া না করে কাউকে কাউকে খুশি রাখতে যে ভয়াবহ কাজ এই রাজ্যের শাসক দল করেছে, সেই তথ্যও এবার সামনে চলে এলো। গোটা ইস্যুতে একেবারে সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাটে হাড়ি ভেঙে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

তৃণমূল এখন ভাবতেই পারে যে, সব গোপন খবর, তাদের এত চুরির খবর, এত দুর্নীতির খবর কি করে শুভেন্দুবাবু পেয়ে যাচ্ছেন! তারা চাইছেন, কি করে শুভেন্দু বাবুকে জেলে ঢোকানো যায়! কিন্তু উল্টে শুভেন্দু অধিকারী যে শক্তি নিয়ে তৃণমূলের চুরি এবং কার সাজি ধরে ফেলছেন, তাতে গোটা শাসক দলের আপাদমস্তক ছোট, বড় সব নেতারাই ফাঁপরে পড়ে গিয়েছেন। তবে এদিন শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বলেছেন, তাতে ঘটা করে বেঙ্গল সামিট করার আগে রীতিমত চাপ বাড়ছে শাসক দলের হেভিওয়েটদের মধ্যে। অন্তত তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত, এদিন সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রশ্নের উত্তরে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমার কাছে সব তথ্য রয়েছে। বিজনেস সামিটের আগেই আমি সেই তথ্য বের করে দেব। এখানে উজ্জ্বলকে দিয়ে 100 কোটি টাকার প্রোগ্রাম করছে। টেন্ডার ছাড়া। আমি সামিটের আগেই সেই তথ্য প্রকাশ করব।” অর্থাৎ ভাবতে পারেন? একটা রাজ্যের সরকার, এত বড় একটা কর্মসূচি করছে। আর সেখানে নাকি টেন্ডারই করা হয়নি! এ কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই রাজ্যকে নিয়ে যাচ্ছেন মাননীয়া?

শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য যদি সত্যি হয়, তাহলে তো এই বিষয়টি চমকে দেওয়ার মত। তাই রাজ্যের মানুষেরও দাবি যে, এই সরকারের মুখোশ খুলে দিতে শুভেন্দুবাবু যে লড়াই করছেন, সেই লড়াই সাবাসি দেওয়ার মত। শুধু তাই নয়, যে তথ্য তিনি ফাঁস করবেন, অবিলম্বে সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনে রাজ্যের মানুষকে জানার সুযোগ করে দিন যে, এই সরকার কতটা স্বেচ্ছাচারী এবং কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত! জনতার মধ্যে থেকেও কিন্তু এই দাবি ক্রমশ উঠতে শুরু করেছে।

বিজেপির দাবি, এই সরকারের ঘনিষ্ঠ বড় বড় কোটিপতিরা রয়েছেন। তাদের দুই একজনকে খুশি করতেই সমস্ত কর্মসূচিতে তাদেরকে বাড়তি সুবিধা দিতে থাকেন মাননীয়া। এক্ষেত্রেও হয়ত তেমন কিছু করার পরিকল্পনাই এই রাজ্য নিয়েছে। আর সেই তথ্য চলে গিয়েছে বিরোধী দলনেতার কাছে। কোনোমতেই তাকে আটকাতে পারছেন না শাসক দলের সর্বোচ্চ নেত্রী। তাই এবার তার বিপদ আরও বাড়বে। শুভেন্দু অধিকারী এই তথ্য ফাঁস করে দিলে কত কোটি কোটি টাকার খেলা এই রাজ্য খেলছে এবং সেই টাকা কিভাবে নয় ছয় করছে, তা প্রকাশ্যে চলে আসবে। রাজ্যের মানুষের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, মানুষের টাকা নিয়ে বড়লোকদের পেট ভরাচ্ছেন সততার প্রতীকের প্রতিমূর্তি। আদতে ভাঁওতাবাজি এবং রাজ্যকে ধ্বংস করা ছাড়া এই সরকারের আর কোনো কাজ নেই বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো করে জানেন, শুভেন্দু অধিকারী তার পক্ষে কতটা চাপের কারণ। তাই প্রতিমুহূর্তে তাকে কেস দিয়ে অন্যভাবে কব্জা করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। তাই শেষ পর্যন্ত পেছনের দরজা দিয়ে একটা চুরির রাস্তা এই সরকার বেছে নিয়েছিল। তবে সেখানেও যেভাবে তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তাতে রীতিমত ভয়ে গোটা নবান্ন থরথর করে কাপছে। ঘটা করে, গাল ভরা লোককে গল্প শুনিয়ে বিজনেস সামিট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন, মানুষকে আবার একটা ললিপপ মুখে ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সোনার সংসারে এক বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করে রাজনৈতিক দাবানল লাগিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!