এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজ্ঞাপনেই সর্বস্ব খরচ রাজ্যের? কেন্দ্রের টাকায় বড় ফুটানি মমতার! সোচ্চার বিজেপি!

বিজ্ঞাপনেই সর্বস্ব খরচ রাজ্যের? কেন্দ্রের টাকায় বড় ফুটানি মমতার! সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিভিন্ন সভা সমিতিতে নাকে কান্না কাদেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একটাই কথা, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি টাকা দিচ্ছে না! কেন্দ্র রাজ্যকে বঞ্চনা করছে। কিন্তু টাকা যদি কেন্দ্রীয় সরকার নাই দেয়, তাহলে রাজ্যের যে অর্থনৈতিক ভাণ্ডার, যেটা খালি হয়ে পড়ে রয়েছে, সেটা দিয়ে কি করে রাজ্য চালাতে পারছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী? যিনি একটু খুঁত পেলে প্রধানমন্ত্রীকে যা ইচ্ছে তাই বলতে ছাড়েন না, তিনি কেন্দ্র টাকা না দিলে চুপচাপ শুধু মুখেই দুই একটা কথা বিজেপির বিরুদ্ধে বলে থেমে যাবেন, এটা অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যারা ভালোমত চেনেন, তারা বিশ্বাস করেন না। তবে এবার তার এই নাকে কান্নার যে নাটক, তা ধরে ফেলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির পক্ষ থেকে অনেকদিন ধরেই দাবি করা হচ্ছে যে, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করে রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার। আর এবার সেই রকমই একটি তথ্য পেশ করে দিলীপ ঘোষ রীতিমত এই সরকারের বারোটা বাজিয়ে দিলেন।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ওই একঘেয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই বিজেপি নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন বলেই মুখ্যমন্ত্রীর সংসার চলছে। রাজ্যের ভাড়ার তো শুন্য। সব কেন্দ্রের থেকে যে টাকা আসছে, তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন এবং পার্টির ফান্ড চালাচ্ছেন। এই করেই তো সমস্ত টাকা নষ্ট করছেন। জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ এই সমস্ত টাকা তো কেন্দ্র থেকেই আসছে।” একাংশ বলছেন, এটা তো একদম ঠিক কথা যে, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র থেকে যদি কোনো কিছুরই টাকা না পান, তাহলে তিনি হামাগুড়ি দিয়ে কান্নাকাটি করতে শুরু করবেন। সামান্য আবাস যোজনা আর একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাও এই বন্ধ রাখার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।

কেন্দ্রের দাবি যে, রাজ্য হিসাব দেবে, তারপরই তাদের বাকি টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তারা হিসেব দিতে পারছে না। কারণ তারাও খুব ভালোমতো জানে যে, তারা দুর্নীতি করেছে, চুরি করেছে, তাই হিসাব দিলে তারা ধরা পড়ে যাবে। তাই দুর্নীতি করার পরেও চোরের মায়ের বড় গলা শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের মুখে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি কেন্দ্র একেবারেই টাকা বন্ধ করে দেয়, তাহলে তৃণমূল নেতারা এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আরও চেঁচামেচি করতে শুরু করবেন। প্রয়োজনে দিল্লিতেও চলে যেতে পারেন। তাই আর্থিক বঞ্চনার যে অভিযোগ রাজ্য করছে, তা যে একেবারেই ভিত্তিহীন, তা স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ ঘোষ।

বিজেপির দাবি, কেন্দ্রের টাকাতেই তো রাজ্য চলছে। রাজ্য সরকার তো নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাচ্ছে শুধুমাত্র বেকার যুবকদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির নাম করে। তা দিয়েই তো তৃণমূলের পার্টি ফান্ড চলছে। তাই বঞ্চনার অভিযোগ আর যাই হোক, বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেত্রীর মুখ থেকে মানায় না। চুরি করে সততার প্রতীক লেখা ব্যানার বানিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি আর তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যে সর্বনাশ তারা রাজ্যের করেছে, তা মনে রেখেছে গোটা রাজ্যের মানুষ। আর এবার কেন্দ্রের টাকায় ফুটানি মেরে বঞ্চনার যাত্রাপালার নতুন নাটক তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নিজের প্রচার করতে খুব বেশি ভালোবাসেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। সুযোগ পেলেই তিনি নিজের শ্রেষ্ঠ, এটা দাবি করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্র থেকে টাকা আসছে। সেই টাকায় মানুষের কাজ করা উচিত। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অন্য খাতে খরচ করে কি করে নিজের প্রচার করা যায়, তার দিকেই বেশি মনোযোগ মাননীয়ার। আর এভাবেই তিনি রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়ে কেন্দ্রের টাকা দিয়ে ফুটানিতে মজে রয়েছেন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!