এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে চরম হিংসা ! অবশেষে মেনে নিলেন মমতা? জোর কটাক্ষ বিজেপির!

রাজ্যে চরম হিংসা ! অবশেষে মেনে নিলেন মমতা? জোর কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিগত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বারবার সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার সেই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। এমন একটা ভাব যেন কোনো হিংসাই হয়নি রাজ্যে, কেউ মারা যায়নি। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার এমন একটি পদক্ষেপ নিল, যার ফলে তারা নিজেরাই স্বীকার করে নিল যে, না, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে। আর সেই হিংসায় মারা গিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। অর্থাৎ বিরোধীরা, বলা ভালো, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এতদিন যে অভিযোগ করেছেন, তাকেই এদিন স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কি এমন পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার, যার ফলে এমন একটা প্রশ্ন উঠছে!

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন, সেই নিহতদের পরিবারের একজনকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। আর এখানেই একাংশ বলছেন, তাহলে তো ভোট পরবর্তী হিংসা যে রাজ্যে হয়েছে, তা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। এতদিন আদালতেও এই বিষয় নিয়ে অনেক দড়ি টানাটানি হয়েছে। বারবার বিরোধীরা দাবি করেছে যে, মানুষের রক্ত নিয়ে ক্ষমতার নেশায় মেতে উঠেছেন এই রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু তৃণমূল এমন একটা ভাব দেখাতে শুরু করেছিল, যেন তারা এতটা স্বচ্ছ যে, তাদেরকে কাচের কাছেও গৌণ মনে হবে। কিন্তু এবার এই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন যে, না, ভোট পরবর্তী হিংসা রাজ্যে হয়েছে। আর সেখানে যারা মারা গিয়েছে, তাদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। কিন্তু এত পরে কেন তার বিলম্বিত বোধোদয় হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল নেতাদের হাতে ভোট পরবর্তী হিংসার রক্ত লেগে রয়েছে। এতদিন বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তা স্বীকার করতে চাননি। তবে এবার সেই ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করে চালাকি করার চেষ্টা করছে রাজ্য। আসলে এখানেও তারা ভাবছে যে, মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে সিম্প্যাথি দিয়ে তাদের ভোট নেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু যে সর্বনাশ এই সমস্ত মানুষগুলোর হয়েছে, তার জন্য এই সরকারকে বড় মাশুল চোখাতে হবে। আগামী দিন যে রক্ত তৃণমূল নেতাদের হাতের রেগে রয়েছে, তার জবাব সাধারণ মানুষ ভোট বাক্সে দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, হঠাৎ করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কেন ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন, এটা একটা বড় প্রশ্ন। এর পেছনে যে তার একটা বড় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং বড় চালাকি রয়েছে, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য যে, এই সমস্ত মানুষ যাতে মুখ না খোলে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যাতে আবার চাপে না পড়ে রাজ্য সরকার, তার জন্যই হয়ত তাদের পরিবারকে এই সান্তনা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। তবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে মাথায় রাখতে হবে, চালাকির দ্বারা মহৎ কার্য সম্পন্ন হয় না।

তিনি যদি ভাবেন, এই মানুষগুলোর মৃত্যুতে তিনি আনন্দে ভাসবেন, আর তাদের পরিবারকে দুটো চাকরি দিয়ে তিনি মহৎ কাজ করবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। তিনি পুলিশ মন্ত্রী। তার ব্যর্থতাতেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হয়েছে। তিনি সামাল দিতে পারেননি জন্যেই আজকে এতগুলো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাই তার জবাব এই রাজ্য সরকারকে দিতে হবে বলেই দাবি বিরোধীদের। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে এতদিন যে বিষয়টি মানতে চাইছিল না এই রাজ্য সরকার, অবশেষে তারা তা মেনে নিল। অতএব একটা জিনিস বোঝা গেল যে, এই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!