এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজনেস সামিটের আগেই ঘুম উড়লো মমতার, শুভেন্দুর দাবিতে মোক্ষম চাপে নবান্ন !

বিজনেস সামিটের আগেই ঘুম উড়লো মমতার, শুভেন্দুর দাবিতে মোক্ষম চাপে নবান্ন !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বছর বছর শিল্প আনার নাম করে বিদেশে যাওয়া, ঘটা করে বিজনেস সামিট করে কোটি কোটি টাকা খরচ করা, এই রাজ্য সরকারের হ্যাবিট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নিটফল কি, সেই প্রশ্ন করলেই সরকারের রোষানলে পড়তে হয় প্রতিবাদী থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতাদের। মানুষের টাকা নিয়ে নয় ছয় করার দিন কবে বন্ধ হবে! বারবার এই প্রশ্ন উঠছে। সকলের একটাই প্রশ্ন যে, বিজনেস সামিট তো হচ্ছে। কিন্তু তার রেজাল্ট কি? কত শিল্প এসেছে রাজ্যে! কত বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হয়েছে এই রাজ্য সরকার! এখনও পর্যন্ত সেই প্রশ্ন দেওয়ার মত মুরোদ হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতাদের। আর এর মাঝেই আবার কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্যে বসতে চলেছে গ্লোবাল বিজনেস সামিট। আর তার আগেই যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন করে মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম ওড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, আগামী 21 এবং 22 তারিখ আবার রাজ্যে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে সরকারের মধ্যে তৎপরতা তুঙ্গে। ঘটা করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে টেন্ডার ছাড়া এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি এবার না হয় আবার ঘটা করে বিজনেস সামিট হচ্ছে। কিন্তু এর আগেও তো এই সামিট হয়েছে। ফলে তা থেকে কি রেজাল্ট এসেছে, তার শ্বেতপত্র কেন প্রকাশ করেনি রাজ্য? সেই প্রশ্ন তুলে নবান্নকে মোক্ষম বিপাকে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এখন শুভেন্দুবাবুর এই প্রশ্ন দেখে অনেকে বলতেই পারেন যে, রাজ্যের উন্নতি দেখে বিরোধী দলের গা জ্বলছে। তাই তারা এই প্রশ্ন করছে। কিন্তু রাজ্যের উন্নতি হচ্ছে কোথায়? সামিট তো হচ্ছে, কিন্তু সেই তার নিট ফল কি? তা তো রাজ্যের মানুষও জানতে চায়। একটা শিল্প নেই রাজ্যে। একটা কলকারখানা এই রাজ্য সরকার স্থাপন করতে পারেনি। বিদেশ গিয়ে শিল্প আনবেন বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই বিষয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে বিরোধী নেতারা প্রশ্ন করবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই শুভেন্দু অধিকারীর করা এই প্রশ্ন যে এখন রাজ্য সরকারের গলার কাছে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

বিজেপির দাবি, এই বিজনেস সামিট করে নিজেকে আরও শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই সেরা, তিনি উন্নয়নের প্রতীক, এই বিষয়টি এখন প্রমাণ করার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নিজের প্রচার করা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর আর কোনো কাজ নেই। তাই বছর বছর এই ধরনের শিল্প সম্মেলনের নাম করে তিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করেন ঠিকই। কিন্তু রাজ্যের মানুষের এতে কোনো লাভ হয় না। তাই শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য রাজ্যের মানুষের বক্তব্য। শিল্প সম্মেলন হবে, তাতে কারও কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সেই শিল্প সম্মেলন থেকে কি সুবিধা আসবে রাজ্যে, এটা জানার অধিকার সকলের রয়েছে। আসলে এই রাজ্য সরকার সব দিক থেকেই ব্যর্থ। তারা কোনো কিছু জানাতে পারবে না। কারণ তারা শিল্প আনতে অপারগ। তাই ঘটা করে সম্মেলন হবে, চা খাওয়া হবে, উৎসব অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়ে মানুষের টাকা নিয়ে ফুর্তি করবে নেতা-মন্ত্রীরা বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্য সরকারের আমলে প্রতিবাদীদের এবং প্রশ্নকর্তাদের প্রতিমুহূর্তে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারের কাছে কেউ কিছু জানতে চাইলেই তাকে কেস দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সব সময়ই এই সরকারের যেন প্রশংসাই করে যেতে হবে। কিন্তু রাজ্যকে যে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা দেখে এখন সকলেই মুখ খুলছেন। তাই বিজনেস সামিট করে তিনি আহ্লাদে গদগদ হলেও রাজ্যের মানুষ কিন্তু এতে মোটেই খুশি নন। ঘোটা রাজ্যের মানুষ জানতে চায় যে, অতীতেও তো এই ধরনের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সিমিট হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কি লাভ এসেছে রাজ্যে? সেটা জানিয়ে এই ধরনের সম্মেলন করা হোক। তা না হলে ভেবে নিতে হবে যে, উৎসব অনুষ্ঠানে মুখ গুজে থাকা এবং ফুর্তি করাই এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!