এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুকে এত ভয়? মমতার পুলিশের নির্লজ্জতা, আদালতে বিরোধী দলনেতা!

শুভেন্দুকে এত ভয়? মমতার পুলিশের নির্লজ্জতা, আদালতে বিরোধী দলনেতা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেক স্বপ্ন নিয়ে রাজ্যের মানুষ 2011 সালে পরিবর্তন করেছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন যে এভাবে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে যাবে, ছারখার হয়ে যাবে গোটা রাজ্য, তা অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অন্তত গণতন্ত্র ধ্বংসের আশা কেউ করেনি। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে এই রাজ্যকে নিয়ে গিয়েছেন মাননীয়া, তা দেখে আজকে সকলেই নিরাশ। সকলেই বলছেন যে, এর থেকে অনেক ভালো ছিল বাম সরকার। তারা এতটা পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করেনি। আজকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সামান্য যে কোনো কর্মসূচি করতে গেলেই শেষ মুহূর্তে পুলিশের অনুমতি তাকে দেওয়া হয় না। প্রায় 70 এর বেশি কর্মসূচি তিনি পুলিশের অনুমতির দিকে না তাকিয়ে আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, গণতন্ত্রের কতটা করুণ পরিস্থিতি হয়েছে এই রাজ্যে।

আর এবার শেষ পর্যন্ত গোটা বিষয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনেকে বলছেন, সত্যিই এ জিনিস ভাবলেও লজ্জা হয় যে, একটি গনতান্ত্রিক রাজ্যে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া যাবে না, শেষ পর্যন্ত যেতে হবে আদালতের কাছে! সাধারণ মানুষের লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে এই তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার পর। কিন্তু এত কিছুর পরেও কেন লজ্জা হচ্ছে না এই রাজ্য সরকারের! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হঠাৎ করে কেন তিনি আদালতে এসেছেন, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে তার আদালতে আসার কারণ স্পষ্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন যে, এই রাজ্যের পুলিশ এখন মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে। পুলিশের মেরুদন্ড বলতে আর কিছু নেই। সব জায়গায় তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন। যার কারণেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই বিষয় নিয়ে আদালতে পৌঁছে যাওয়াকে ভালো চোখেই দেখছেন রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারণ মানুষ।

একাংশ বলছেন, এছাড়া তো আর কোনো গতি নেই। সব জায়গায় তাকে যেভাবে হোক আটকে দিয়ে বাগে আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কোনোভাবেই শুভেন্দু অধিকারী চুপ করে যাওয়ার লোক নন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টের পেয়েছেন। তাই শত চেষ্টা করেও তার সব কর্মসূচি শেষ মুহূর্তে পুলিশ দিয়ে বানচাল করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই যখন সরকারের কাছ থেকে গণতন্ত্রের আশা করেও পাওয়া যায় না, তখন সুরাহা হয় আদালতে। তাই শেষ পর্যন্ত আদালতের দরজায় যাওয়া ছাড়া শুভেন্দুবাবুর কাছেও কোনো রাস্তা ছিল না বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, আদালতে এই ব্যাপারে কি হবে, তা সময় বলবে। তবে এর আগেও একাধিক বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের কর্মসূচির অনুমতি নিতে আদালতে গিয়েছেন এবং সেখানে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় খেয়েছে এই রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা হয়নি। এক পুলিশকর্তার গাড়িকে পাস করানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারী যিনি মন্ত্রী সমতুল্য পদে রয়েছেন, তার গাড়িকে সেখানে অপেক্ষা করানো হয়েছে। এভাবেই আজকে এই রাজ্য সরকার বিরোধী নেতাকে অমর্যাদা, অপমান, প্রতিহিংসা করেই চলেছে। সব সীমাকে তারা লংঘন করেছে। গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গণতন্ত্রকে আরও দ্বিগুণভাবে ধ্বংস করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাকে জবাব দিতে বিচারালয়ে গিয়ে আবার শাসক দলকে শিক্ষা দেবেন বিরোধী দলনেতা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা ভোগের শেষের সেদিন চলে এসেছে। এতটা ফ্যাসিস্ট, এতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ শাসক এই রাজ্যে অতীতে ছিল কিনা, তা কেউ মনে করতে পারছেন না। যে পরিমাণ প্রতিহিংসা, যে পরিমাণ চাপ রাজ্যের বিরোধী নেতাকে দেওয়া হচ্ছে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। যদি এতই তিনি মানুষের নেত্রী বলে নিজেকে দাবি করেন, তাহলে ভোটে জিতে আসতে তার ভয় কিসের? এত আপত্তি কেন বিরোধী নেতা যদি কোনো কর্মসূচি করতে যায়, তাতে? সেখানে কেন প্রতি পদে পদে তাকে পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া হবে! ক্ষমতায় আসার পর কেন এত পুলিশ নির্ভর হয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? পুলিশকে দিয়ে তিনি যে পরিমাণ ষড়যন্ত্র এবং প্রতিহিংসা শুভেন্দুবাবুর প্রতি করছেন, একদিন অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাসে এই ঘটনা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও হবে না তো? তবে কি হবে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু এই সরকারকে শিক্ষা দিতেই হবে। তাই সরকারের সমস্ত ষড়যন্ত্র, পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে নতুন প্রতিবাদের সুর বেঁধে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!