এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুলিশকে শেষমেষ চাকর বানালেন মমতা? ভিডিও হাতে নিয়েই চরম হুঙ্কার শুভেন্দুর!

পুলিশকে শেষমেষ চাকর বানালেন মমতা? ভিডিও হাতে নিয়েই চরম হুঙ্কার শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে এককালে সবাই সম্মান করত। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই পুলিশি ব্যবস্থাকে নিয়ে গিয়েছেন, তাকে ধিক্কার জানাচ্ছেন সকলেই। এতদিন তো বিরোধীদের আটকানো থেকে শুরু করে কেস দিয়ে মুখ বন্ধ করার ক্ষেত্রে পুলিশকে এই রাজ্য সরকার ব্যবহার করেছে। যার জন্য বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে মমতা পুলিশ বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর এবার একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালী পুজোতে পুলিশকে রীতিমতো চাকরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। আর এই বিস্ফোরক দাবি আমরা করছি না। ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চরম বিপাকে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, তার কাছে এই গোটা ঘটনার ভিডিও রয়েছে। কিন্তু পুলিশকে দিয়ে কি এমন কাজ করালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? যার জন্য এত ভয়ানক অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে!

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোর সময়কার একটি তথ্য প্রকাশ্যে আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোতে কালীঘাট মিলন সংঘের পাশে একটি রাজ পরিবারের মত রন্ধনশালার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর সেখানেই প্যাকেট ডিস্ট্রিবিউশন এবং তা বিতরণ করার দায়িত্ব ছিল কলকাতা পুলিশের। তারা সিভিল ড্রেসে এই কাজ করেছেন। সব ভিডিও আমার কাছে রয়েছে।” একাংশ বলছেন, কি মারাত্মক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী! সঠিক তথ্য হাতে না থাকলে এই ধরনের অভিযোগ অন্তত মুখ্যমন্ত্রী সহ্য করবেন না। তিনি রাতারাতি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এই কথা বলার পরেই হয়ত কোনো কড়া পদক্ষেপ নিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই কথা বলার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার মতো মুরোদ হয়নি এই রাজ্যের শাসকদলের। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হয়ত জানেন যে, এইরকম কাজ তিনি পুলিশকে দিয়ে করান এবং এবারও করিয়েছেন।

আর সেই তথ্য যে করেই হোক, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে চলে গিয়েছে। আর এতেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এই রাজ্যের পুলিশের মেরুদন্ড বলতে আর কিছু নেই। তারা মুখ্যমন্ত্রীর চাকর হয়ে গিয়েছেন। আজকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নাম এমনি এমনি বিরোধীরা মমতা পুলিশ বলে আখ্যায়িত করেনি। শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনই চোখ কান, মুখ বন্ধ করে ইস্তফা দেওয়া উচিত বলেই দাবি একাংশের।বিজেপির দাবি, পুলিশি ব্যবস্থাকে কিভাবে ধ্বংস করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, তা তো চোখের সামনেই বোঝা যাচ্ছে। বিরোধী নেতাদের সভা, সমিতির অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ তো এতদিন ছিলই। আর এবার শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা সব সীমাকে লংঘন করে গেল।

একেবারে নিজের বাড়ির চাকর হিসেবে পুলিশকে ব্যবহার করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই পুলিশ কর্তারাও নিজের অবস্থান কর্মচারীকে দিয়ে সেই কাজ করাচ্ছেন। কারণ তাদের তো মুখ্যমন্ত্রীর চোখে ভালো থাকতে হবে। আর সেই কারণেই আজকে রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা একেবারে দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। গোটা রাজ্যে প্রশাসনের কাজ এখন একটাই, তৃণমূল নেতাদের তেলা মাথায় তেল দেওয়া। যদি ক্ষমতা থাকে, যদি হিম্মত থাকে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর এই বিস্ফোরক বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়ে দেখান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তাহলেই বোঝা যাবে, তিনি কতটা পুলিশকে ছাড়া রাজ্য পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখেন। তবে সেই মুরোদ যে তার নেই, তা রাজ্যবাসী জানে। আর রাজ্যের মানুষ এটাও জানে যে, এখন তৃণমূল নেতাদের বাড়ির চাকর হয়ে গিয়েছেন পুলিশ অফিসাররা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে রাজ্যের মানুষ ভুল করেছে। একজন অনভিজ্ঞ মানুষকে রাজ্যের মানুষ রাজার মুকুট পরিয়ে দিয়েছিল। যার কারণে আজকে তার পাপের ফল গোটা রাজ্যবাসীকে ভোগ করতে হচ্ছে। ভাবা যায়, একজন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কালীপুজো হচ্ছে, আর তার প্রসাদ বিতরণের প্যাকেট তৈরি এবং তার ভিতরের দায়িত্ব সিভিল পোশাকে করছে কলকাতা পুলিশ? এ জিনিস কি রাজ্যের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কখনও মেনে নিতে পারবেন? তাই শুভেন্দু অধিকারী যে তথ্য ফাঁস করে দিলেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হবে তো? নাকি যে কায়দায় তিনি চলছেন, সে কায়দাতেই চলবেন? অবশ্য লজ্জাবোধ যে তার মধ্যে নেই, তিনি যে নিজের মতো করেই চলেন এবং ক্ষমতা ভোগের চরম পর্যায়ে যে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন, তা প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ হচ্ছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী তার হাতে থাকা এই গোপন ভিডিও যদি একবার প্রকাশ্যে এনে দেন, তাহলে মুখ দেখানোর মতও জায়গা থাকবে না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!