এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শেষমেষ খুন করলো মমতা পুলিশ ? আমহার্ট স্ট্রিট কান্ডে নয়া মোড়! সোচ্চার শুভেন্দু !

শেষমেষ খুন করলো মমতা পুলিশ ? আমহার্ট স্ট্রিট কান্ডে নয়া মোড়! সোচ্চার শুভেন্দু !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিরোধীদের কেস দেওয়া, তাদের সভা করতে আটকে দেওয়া, তাদের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা, এই সমস্ত তো ছিলই। এগুলো যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু এক ব্যক্তিকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে পিটিয়ে খুন করার মত অভিযোগ অন্তত এই রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল না। তবে এবার সেই অভিযোগেও বিরোধীদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে। সম্প্রতি আমহার্ট স্ট্রীটের ঘটনা কারও অজানা নয়। সেখানে অশোক কুমার সিং নামে এক ব্যক্তিকে থানায় ডাকার পরেই সেখানে তার মৃত্যু হয়। আর তারপর থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এদিন সেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ভয়ংকর দাবি করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে আরও চাপে এবং বেকায়দায় পড়ে গেল প্রশাসন বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন সেই মৃত অশোক কুমার সিংয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, “এটা একটা মার্ডার। স্থানীয় পুলিশ থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে অশোক কুমার সিংকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে, খোঁজখবর নিয়েই এখানে এসেছি।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে, তাকে জেলে ঢোকাতে সব সুযোগ ব্যবহার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পারেননি। তবে এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে মেরে ফেলার অভিযোগ যখন শুভেন্দু অধিকারী করছেন, তখন সুযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে আরও একটা অভিযোগ করতেই পারতেন এই রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি তা করতে পারবেন না। কারণ পুলিশ থানায় কি করেছে, তার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করার মত ক্ষমতাও এই প্রশাসনের নেই। আর সেই ফুটেজ যদি প্রকাশ্যে আসে, তাহলে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে এই অশোক কুমার সিংহের। তাই শুভেন্দু অধিকারীর দাবি যে উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়, তা যত সময় যাচ্ছে, তত স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, পুলিশ এখন অপরাধীদের বের করে তাদেরকে সাজা দিতে ভুলে গিয়েছে। বিরোধীদের আটকানো, তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করাই এখন পুলিশের অভ্যাস। তাই এক্ষেত্রেও তারা পিটিয়ে এক যুবককে মেরে ফেলেছে। আর এখন সেই পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা বিস্ফোরক অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। কিন্তু এসব করে লাভ হবে না। মানুষের কাছে সত্যটা ধরা পড়ে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী গোটা বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে, সঠিক তথ্য নিয়েই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। আর সেখানে তিনি আরও একবার গোটা বিষয়ে এই পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জতার পর্দা ফাঁস করে দিয়েছেন। তাই যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজের বিকৃতি না করে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আনুক প্রশাসন। তাহলেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যের পুলিশ কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ এবং কতটা হিংস্র। মানুষকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে থানায় ডেকে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার দায়েও শেষ পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ল এই রাজ্যের পুলিশ। যা দেখে সাধারণ মানুষ তো বটেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকট বিরোধী নেতাদেরও লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, থানায় ডেকে পুলিশ কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে জেরা করতেই পারে। কিন্তু অশোক কুমার সিংহের বিরুদ্ধে অতীতে তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। হঠাৎ করে তাকে থানায় দেখে যেভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এত প্রশ্ন উঠছে। তাই সেই পুলিশকেই এবার তার জবাবদিহি করতে হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষ যে প্রতিরোধের আগুনে জ্বলছে, তাতে ভস্মীভূত হয়ে যেতে পারে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!