নির্বাচনের আগেই ফের উতপ্ত বীরভূম, বিজেপির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 28, 2019 সোমবার-অর্থাৎ ২৯ সেএপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট। আর এদিন ভোট হতে চলেছে রাজ্যের মোট ৯ টি কেন্দ্রে। তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম ও বোলপুর কেন্দ্রেও। আর এদিন লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বীরভূম। শনিবার রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াল অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে। বিজেপির অভিযোগ যে তৃণমূল তাদের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে পাশাপাশি তাদের মারধরও করেছে। অভিযোগ, এদিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেস মিছিল করার সময় ইলামবাজারে বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালায়।শুধু তাই নয়, , জিনিসপত্র ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে বিজেপি। এখানেই শেষ নয় সাথেই সাঁইথিয়ার হাতোড়ায় এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতেও বোমা ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ বিজেপির। আর এই সমস্ত কিছুর জন্য তাদের অভিযোগের আঙ্গুল তৃণমূলের দিকে। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দাবি করে যে তৃণমূল শান্তিপ্রিয়। তাই এসব কিছু করে নি। অন্যদিএক বিজেপি যারা অশান্তি পছন্দ করে তারাই তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুরের কুখুটিয়া গ্রামে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূলের এই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে বিজেপির দাবি যে এসব কে করছে তা সবাই জানে, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। আর এই নির্বাচনে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তারা এটা জেনেই বিজেপিকে আটকাতে এই সব কৃন্য কাজ করছে তারা। প্রসঙ্গত, এর আগেও বারে বারে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বীরভুম জেলায়। বিজেপির দাবিকে নস্যাৎ করে তৃণমূলের দাবি রাজ্যে কেন কেন্দ্রেও বিজেপির নাম নিশানা থাকবে না আর তাই নিজেরা এইসব করে মানুষকে ভুলবুঝানোর চেষ্টা করছে। আর তাদের দাবি এবার ৪২ সে ৪২ আসন জিতে দিদিই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী আর অভিষেক ব্যানার্জী হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে এই ঘটনার পর জেলাশাসক দাবি করেছে যে এই জেলাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। জানা গেছে যে বীরভূমের প্রায় ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আর জেলার প্রায় ৭০০ বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে থাকেব বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা। ফলে এবারের ভোটে শাসকদল তেমন কোনো সুবিধা করতে পারবে না বলেই মত বিরোধীদের। শুধু তাই নয় এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন আরো কড়া হতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিকমহল। আপনার মতামত জানান -