এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এই যে আমি বিজেপি হঠানোর কথা বলছি, এর জন্য সিবিআই, ইডি পাঠাতে পারে: মুখ্যমন্ত্রী

এই যে আমি বিজেপি হঠানোর কথা বলছি, এর জন্য সিবিআই, ইডি পাঠাতে পারে: মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর দলের নেতা নেত্রীরা বার বার আগেও অভিযোগ তুলেছেন যে সারদা,নারোদা নানা কাণ্ডে তৃণমূলকে ফাঁসানো হয়েছে। ইডি, সিআইডি মিথ্যা তথ্য প্রমান সাজিয়ে একের পর এক তৃণমূলের নেতাকে ফাঁসিয়েছে আর তা করেছে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে।এদিন তাঁর ব্যাতিক্রম হলো না। এদিন ফের সেই অভিযোগ শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের গলাতেও ।

২১-এর মঞ্চে প্রকাশ্যে কেন্দ্রবিরোধী কথা বলায় মোদী-রোষের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এমন আশঙ্কার কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের দাপুটে নেতৃত্বের গলায় ‘মোদী-হটাও’ ধ্বনিরই রব শোনা যাচ্ছিল দফায় দফায়। এর জেরেই গমগম করছিল জনসভা। ধর্মতলায় ২১ জুলাই- এর মঞ্চে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই যে তিনি কেন্দ্র থেকে বিজেপি উৎখাতের কড়া ভাষণ দিলেন তার ফলে কেন্দ্র থেকে সিবিআই,ইডি পাঠাতে পারেন। কিন্তু সিবিআই লাগিয়েও তৃণমূলের কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না এমনটাই হুঁসিয়ারী দিলেন বঙ্গের নেত্রী।    তাঁর আগে অভিষেকও বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন “সিবিআই,ইডি দেখিয়ে,ধমকিয়ে,চমকিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখাবে ভেবেছে। সিবিআই,ইডি দেখিয়ে তৃণমূলের কাঁচকলা করেছে। আগামী দিনে সিবিআই, ইডি কাঁচকলা করবে।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ কথাতেই জানিয়ে দিলেন অযথা রাজনৈতিক ‘চাপ’ সৃষ্টি করে তৃণমূলকে দমানো যাবে না। তিনি রাজ্যের শাসক হওয়া সত্ত্বেও বিরোধীদের বিরুদ্ধে তো কোনোরকম আইনি ‘ভয়’ বা মামলা করছেন না। তিনি দাবী করেছেন তাঁর হাতেও এমন অনেক রাজনৈতিক কেস আছে,কিন্তু এরকম মামলা করতে যাননি। ২৪ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এর জবাবও এসেছে কেন্দ্র থেকে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ মন্তব্যে জানিয়েছেন যে সিবিআই ইডির তদন্ত আদালতের নির্দেশে হয়েছে। সারদা তদন্ত শুরু হয়েছিলো কংগ্রেসের আমলে। রাহুলজি আবার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন বরং বঙ্গের নেত্রীই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করাচ্ছেন। পুলিশকে ব্যবহার করছেন। এসব কথা তাঁর মুখে মানায় না।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই সারদা-নারদা চিটফান্ড কান্ডে তৃণমূলের বাঘা বাঘা নেতৃত্বদের সিবিআই-ইডি হেফাজতে রাখা হয়েছে। দফায় দফায় করা হয়েছে জেরা। তৃণমূলের কয়েকজন নেতা মন্ত্রী গ্রেফতারও হয়েছিলেন এর ফলে। তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল,প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র প্রত্যেকেই হাজতবাস করেছেন এর জেরে। তবে প্রত্যেকেই এখন জামিনে মুক্ত। সিবিআই হেফজতে থাকার প্রসঙ্গ টেনে এদিন সরব হতে দেখা গেল সুদীপ বাবুকেও। তিনি জানান, অন্যকে ভয় দেখানো যায়,মাথা নুইয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ভয় দেখিয়ে,চোখ রাঙিয়ে তাঁদের দমাতে পারবে না।

উল্লেখ্য, সিবিআই তদন্ত যে বর্তমানে যে একটু গতিহীন অবস্থায় আছে তার জন্য সুপ্রিমকোর্টের কাছেই সিবিআই আধিকারিকদের ভৎর্সিতও হতে হয়েছে। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি এখন সমঝোতার সূত্রে আবদ্ধ,তাই এরকম রাজ্যের শাসকদল নিয়ে ঢিলেমি ভাব মোদী সরকারের।তবে এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রকাশ্যে আক্রমণ করায় মোদীজির আক্রোশের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে দলীয় অন্দরে তীব্র চর্চা চলছে সম্প্রতি, এমটাই আন্দাজ রাজনৈতিক ওয়াকবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!