প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু চাঞ্চল্য বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীদের আত্মহত্যা তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ হিসেবে তুলে ধরতে ভারতীয় জনতা পার্টি। বেছে বেছে একের পর এক বিজেপি নেতা কর্মীরা কেন এভাবে আত্মহত্যা করেছেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। আর এরই মাঝে এবার কোচবিহার দিনহাটা বিধানসভার বুড়িরহাটে কুকুরকচুয়া গ্রামে এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। জানা গেছে, মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম সম্বারু বর্মন। রবিবার গভীর রাতে এলাকার রাস্তার ধার থেকে দমকলের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আর এরপরই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, এই সম্বারু বর্মন রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বাড়িতে রয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এদিন গভীর রাতে স্থানীয় কোনো ব্যক্তি প্রথমে তাকে তার বাড়ি থেকে 500 মিটার দূরে রাস্তা ধারে পড়ে থাকতে দেখেন। যেখানে এই বিজেপি কর্মীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। আর এর পরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আর বিজেপি কর্মীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে প্রায় 30 মিনিট পথ অবরোধ করা হয়। আর তারপরেই সেই মৃতদেহ নিয়ে বুড়িরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “ওই ব্যক্তি স্থানীয় বুথে আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাকে এলাকার রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে রাতের অন্ধকারে খুন করেছে। মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পর থেকেই তৃনমূল বলছে, দুর্ঘটনায় আমাদের ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাহলে ওরাই কি এই ঘটনা ঘটিয়েছে! আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।”

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমাদের দল খুনের রাজনীতি করে না। খুনের রাজনীতি করে বিজেপি। ওদের হাতে কোনো ইস্যু নেই। তাই এখন মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে।” তবে এখন পুলিশি তদন্তে এই ব্যাপারে কি উঠে আসে, ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল এই বিজেপি কর্মীর! সেই রহস্য উন্মোচনের দিকেই নজর থাকবে