এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর অভিমান মিটেছে কিনা প্রমান হবে আর ৫ দিনেই? মেদিনীপুরের মাটিতে ক্রমশ চড়ছে জল্পনা?

শুভেন্দুর অভিমান মিটেছে কিনা প্রমান হবে আর ৫ দিনেই? মেদিনীপুরের মাটিতে ক্রমশ চড়ছে জল্পনা?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু ছাড়েননি দল। তাঁকে দলে ধরে রাখতে বিশেষ প্রচেষ্টা নিল তৃণমূল। তাঁকে, পিকে, অভিষেকের সঙ্গে বসিয়ে আলোচনা চললো। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানালেন যে, মান-অভিমান ভুলে গিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি জানান যে, আগামী ৭ ই ডিসেম্বর মেদিনীপুরে তাঁর সভায় উপস্থিত থাকতে শুভেন্দু অধিকারীকে।

তবে, শুভেন্দু অধিকারীর অভিমান আদৌ মিটেছে কিনা? তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মেদিনীপুরের জনসভায় যাবেন কিনা? তা এখনও স্পষ্ট নয়। মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যদি তিনি উপস্থিত হন, তাহলে তাঁকে নিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটবে। তবে সভার আগে শুভেন্দু অধিকারী কোন বিশেষ বার্তা দেন কিনা? সেদিকে দৃষ্টি সকলের। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আদৌ ইতিবাচক ফল পড়েছে কিনা? সে প্রশ্ন সকলের।

শুভেন্দু অধিকারীকে দলে ধরে রাখতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে মুখোমুখি আলোচনায় বসানো হলো। যেখানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সৌগত রায় জানালেন যে, বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ছেন না। তবে অন্যান্য বিষয়গুলি শুভেন্দু অধিকারী নিজেই পরে জানাবেন। এরপর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

এদিকে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তে চান না। তাঁর উপর ভরসা আছে তাঁর। তিনি জানিয়েছিলেন, দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আলোচনার দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি। এরপর তাঁর পরিকল্পনা ছিল, যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসাতে হবে তাঁকে। অনেকে মনে করছেন, এই পরিকল্পনায় ১০০% সফল হয়েছেন তিনি। অভিষেকের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করতেই ক্ষোভ মিটেছে শুভেন্দু অধিকারীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে এই বৈঠকে। ভোট কুশলী পিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দল পরিচালনা নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। বৈঠকে স্থির হলো, শুভেন্দু অধিকারী যে পাঁচটি জেলার দায়িত্বে ছিলেন সেই পাঁচটি জেলায় অভিষেক, পিকে প্রার্থী নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবেন না। শুভেন্দু অধিকারীর দেয়া হবে আগের মতো ক্ষমতা, পর্যবেক্ষক থাকাকালীন যে ক্ষমতা ছিল।

এই বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু আধুনিকারীর হাত ধরে জানালেন, ” সকলে মিলে একসঙ্গে দল চালাবো আমরা। দলের ভালোর জন্য নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলাই উচিত। আমরা সকলেই দলকে ভালোবাসি। দলের জয়টাই এখন মুখ্য।” অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ” আমরা একজনকে দেখেই দল করি। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য কারও নির্দেশ বা হস্তক্ষেপ তাঁর পক্ষে মান কঠিন। ”

তারপর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন যে, সামনে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এখন সকলে মিলে একসঙ্গে কাজে নামতে হবে। এরপরই তিনি জানিয়েছেন যে, আগামী ৭ ই ডিসেম্বর মেদিনীপুরে জনসভায় যাচ্ছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী যেন এই জনসভাতে উপস্থিত থাকেন। এখন, এই সভায় শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকবেন কিনা? সেদিকেই দৃষ্টি সকলের। এই সভায় তিনি উপস্থিত হলেই পরিস্কার হয়ে যাবে যে, দলের প্রতি তার ক্ষোভ মিটেছে কিনা?

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!