BREAKING – থানার মধ্যেই আক্রান্ত শঙ্কুদেব পাণ্ডা, রক্তাক্ত নিরাপত্তারক্ষী, গুঁড়িয়ে গেল গাড়ি কলকাতা বিজেপি বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য June 8, 2020 করোনা আবহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেউ যেন রাজনীতি না করেন। আর তারফলেই রাজনৈতিক সংযম দেখাচ্ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু, অভিযোগ, একদিকে ত্রাণবিলি করতে গেলে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের আটকানো হচ্ছিল। অন্যদিকে, প্রচার করা হচ্ছিল – বিজেপি নেতাদের এই কঠিন সময়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সবমিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে, তিনি জানিয়ে দেন, গেরুয়া শিবিরের নেতারা আর ঘরে বসে থাকবেন না, তাঁরাও এবার ময়দানে নামবেন। আর তারপরেই বিজেপির থমকে থাকা রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যায় প্রবলভাবে। একদিকে যেমন তৃণমূলে ভাঙন ধরানো শুরু হয়, অন্যদিকে তেমনই শুরু হয় রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই রকমই এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আজ বেরিয়েছিলেন রাজ্যারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তথা সদ্য বিজেপির রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া নেতা সব্যসাচী দত্ত। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি থামিয়ে তাঁর উপর আক্রমন চালায় রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর অনুগামীরা। সাব্যসাচীবাবু এরপর অভিযোগ জানাতে থানাতে যান। দলীয় নেতা আক্রান্ত হয়েছে খবর পেয়ে থানাতে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডাও। আর এরপরেই থানার মধ্যেই আক্রান্ত হন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। পুলিশের সামনেই তাঁর গাড়ির উপর নির্বিচারে চলে লাঠি, শাবল বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ফলে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে বিজেপি নেতার গাড়ি। সাব্যসাচীবাবুর উপর যারা আক্রমন চালিয়েছিল, সেই দুষ্কৃতীরাই পুলিশের সামনে কার্যত তান্ডব চালান বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে চূড়ান্তভাবে আহত হন, শঙ্কুদেব পাণ্ডার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী। রক্তাক্ত শঙ্কুদেব পাণ্ডার নিরাপত্তারক্ষী তথা সিআইএসএফের সাব-ইন্সপেক্টর ও আক্রান্ত গাড়ি। রীতিমত রক্তাক্ত হন বিজেপি নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী (PSO), যিনি CISF-এর সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রের খবর, তাঁর অবস্থা বেশ গুরুতর। সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করতে হয়েছে। আর সমগ্র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বলে জানা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই, গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর অনুগামীরাই এর পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যেহেতু এইভাবে CISF জওয়ান আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হয়েছে, সমগ্র ঘটনার রিপোর্ট যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তরে। ইতিমধ্যেই, এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল এই ঘটনার জেরে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী এইভাবে দিনে-দুপুরে থানার মধ্যেই একদল দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখন কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -